কেডিসিতে প্রতিদ্বন্দ্বির প্রচারনা নিষিদ্ধ করলো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল কেডিসিতে প্রতিদ্বন্দ্বির প্রচারনা নিষিদ্ধ করলো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল - ajkerparibartan.com
কেডিসিতে প্রতিদ্বন্দ্বির প্রচারনা নিষিদ্ধ করলো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল

6:53 pm , July 19, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আসন্ন ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের সন্ত্রাসী রূপে অবতীর্ন হয়েছেন ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত ভেবে বেপরোয়া কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের গডফাদার খ্যাত এই কাউন্সিলর প্রার্থী। নিজ এলাকা কেডিসিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী’র প্রচারনা নিষিদ্ধ করেছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রচারনা চালানো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা এমনকি নারী কর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে এক সময়ের হাতুড়ী জয়নাল নামে পরিচিত বর্তমান কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেডিসি রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে এমনই এক ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ভর করেছে। ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রচারনা চালাতে যাওয়া তপন আকন নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক প্রহার এবং প্রচার মাইক ও গাড়ি ভাংচুর করেছে জয়নাল ও তার নেতৃত্বাধীন মাদক ব্যবসায়ী বাহিনী। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন এটিএম শহীদুল্লাহ কবির’র কর্মী রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর বাসিন্দা তোতা মিয়া আকনের ছেলে তপন আকন। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারনায় বাঁধা এবং হামলার ঘটনায় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহীদুল্লাহ কবির।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ১০নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন পুনরায় ওই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সে ওয়ার্ডের অধীনস্ত কেডিসি রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে বসবাস করে। যে কারনে রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে অন্য কোন কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জয়নাল আবেদীন। কেউ প্রচারনা করতে গেলে তাকে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল হতে হচ্ছে।

এটিএম শহীদুল্লাহ কবির’র ঠেলাগাড়ি প্রতীকের কর্মী রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর বাসিন্দা তপন আকন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাস্তাক স্মৃতি কলোনীতে অটোরিক্সা যোগে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ভোট চেয়ে মাইকিং করতে যান। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ভোট চেয়ে শ্লোগান ছিলো ‘চাঁদাবাজী করিনাই ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট চাই, সন্ত্রাসী করিনাই ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট’। প্রচার মাইকে প্রচারিত এমন শ্লোগানে ক্ষুব্ধ হন ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন।

তপন আকন বলেন, জয়নাল, তার ছেলে এনা এবং এলাকার চিহ্নিত মাদক স¤্রাজ্ঞি ফরিদা ওরফে গালকাটা ফরিদা আমার প্রচার গাড়িয়ে থামিয়ে রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে কেন প্রবেশ করেছি তা জিজ্ঞাসা করে। এক পর্যায় বাবা-ছেলে এবং মাদক ব্যবসায়ী ফরিদা সহ ৮/১০ জন মিলে আমার উপর হামলা করে। প্রচার মাইক ও গাড়িতে ভাংচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা ছুটে জয়নাল ও তার লোকেদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তিনি বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যার নম্বর আর-২৬৩৮।

এদিকে এটিএম শহীদুল্লাহ কবির বলেন, প্রচার গাড়ি ভাংচুর ও কর্মীর উপর হামলার খবর পেয়ে নির্বাচন আচরনবিধি মনিটরিং এর কাজে নিয়োজিত জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এই ঘটনায় নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমি নির্বাচন অফিসে ঘটনা উল্লেখ করে এর সমাধান চেয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমার কোন কর্মী রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে ভোট চাইতে যেতে পারছে না। যে যাচ্ছে তাকেই হেনস্তা সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করছে। এমনকি নারী কর্মীরাও তার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। সম্প্রতি এক নারী কর্মী ভোট চাইতে গেলে প্রকাশ্য দিবালোকে তার মাথার হিজাব ধরে টানা হেচড়া করে জয়নাল। এসব কারনে কেউ ওই ওয়ার্ডে ভোট চাইতে যেতে পারছে না। এমনকি প্রার্থী হিসেবে আমাকেও ছাড় দিচ্ছে না সে। বিষয়টি’র প্রতি নির্বাচন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চান কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহীদুল্লাহ কবির।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT