১৬ নং ওয়ার্ডে চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ১৬ নং ওয়ার্ডে চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ - ajkerparibartan.com
১৬ নং ওয়ার্ডে চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

4:20 pm , May 17, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  টানা ৩০ বছরের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিকে চেয়ারের লোভে মানসিকভাবে তিলে তিলে হত্যার মত গুরুতর অভিযোগ এনে চলছে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচারণা। একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় দাড় করিয়ে একাধিক প্রার্থী যখন কৌশলী হয়ে উঠছেন, ঠিক তখনই এমন পরিস্থিতিতে চাপা পড়ে যাচ্ছে জন ভোগান্তির বিষয়গুলো। এসবের মধ্যেও সুস্থ মানসিকতার প্রার্থীরা বিগত সময়ে কি উন্নয়ন করেছেন, আর ভবিষ্যতে কি করবেন তা নিয়ে রয়েছেন চিন্তিত। একদিকে তারা যখন ওয়ার্ডের সাধারনের জীবন মান উন্নয়নের পরিকল্পনা করছেন। অন্যদিকে বাকিদের  রয়েছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের কাঁদা ছোড়াছুড়ি। তবে এ সকল অভিযোগ যে একেবারেই নিছক, তা কিন্তু মোটেও নয়। একজনের বিরুদ্ধে প্রায় সকলের করা কমবেশি প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ। কিছু অভিযোগ প্রমাণিত, আর কিছু অভিযোগ সত্যতা যাচাই করা এখন আর সম্ভব নয়। কিছু শ্রম, কিছু কৌশল আর অনেকটা ভাগ্যের জোরে কাউন্সিলরের চেয়ার পাওয়া বর্তমান প্রার্থীর বিরুদ্ধে দু একজন বাদে অন্য প্রায় সকল প্রার্থী পালাক্রমে অভিযোগ করে। এক প্রার্থীর গুরুতর অভিযোগ ব্যক্তিগত আক্রোশ হতে পারে বলে মন্তব্য ওয়ার্ডের ভোটারদের। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু একটি বিষয়ে যখন শিশুরা মুখ খোলে তখন তা আর অবিশ্বাস করা বা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রাখে না। তবে অভিযুক্ত যখন অভিযোগের প্রতিটি বিষয়ে কৌশলে যুক্তি সহকারে খন্ডন করে পাল্টা অভিযোগের তীর ছোড়ে তখন তৈরি হয় ভোটের পরিবেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ১৬ নং ওয়ার্ডে  এখন এমন নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। ওয়ার্ড পরিক্রমার ধারাবাহিক প্রতিবেদন সংগ্রহে গতকাল দৈনিক আজকের পরিবর্তন প্রতিবেদক গিয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ ১৬ নং ওয়ার্ডে। আপেক্ষিক ক্ষুদ্র আয়তনের এই ওয়ার্ড থেকে আসন্ন নির্বাচনে বর্তমানসহ মোট  ৬ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর রাজিব হোসেন খান, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন শিকদার, আ স ম রাফি (জুয়েল), তরুণ সমাজসেবক হোসনে মোবারক (এইচএম রাজিব), ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মরহুম মোশারফ আলি খানের ছেলে মো আল জায়েদ খান রছি এবং নতুন মুখ মো মেহেদী হাসান। ওয়ার্ড টিতে তেমন কোন লক্ষনীয় উন্নয়ন নেই বলে জানায় সাধারণ ভোটাররা। ওয়ার্ডের প্রধান সড়কের অবস্থা চলাচলযোগ্য হলেও অলি গুলির কাজ হয়নি বিগত পাঁচ বছরে। নগরীর উচ্চ মধ্যবিত্ত বাসিন্দাদের ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত হলেও এই ওয়ার্ডে রয়েছে জলাবদ্ধতা, অপরিচ্ছন্নতা, মশার উপদ্রব, ইভটিজিং, মাদকসহ নানান সমস্যা। এ সকল সমস্যার কার্যকরী কোন সমাধান বিগত কোন প্রতিনিধি দিতে পারেনি বলে জানায় ভোটাররা। তবে নিজ উদ্যোগে দীর্ঘদিন আগ থেকেই ওয়ার্ডবাসীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী শাহীন সিকদার। ভোটাররা বলে প্রতিনিধি না হয়েও তিনি যে সকল কাজ এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য করেছেন তা এখনো করতে পারেনি সাবেক ও বর্তমান প্রতিনিধিরা। উপ নির্বাচনে কাউন্সিলর এর চেয়ার পাওয়ার পর রাজিব হোসেন খান জনগনের নাগরিক সুবিধা বন্টনের বিষয়ে মোটামুটি সচেতন হলেও এই সুবিধা গুলোই সাবেক কাউন্সিলর এর কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতা ও মেয়রের ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাদে নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি নিয়ে বন্টন করেছেন। যা বন্টন করার কথা ছিল কাউন্সিলরের ওয়ার্ডের প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মাঝে।অন্যদিকে ভোটারদের ভাষ্যে রাজিব তা বন্টন করেছে নিজের ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করতে তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে। এমন কিছু কারণে ওয়ার্ডে নাগরিক সুবিধা বন্টনে বিগত সময়ে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছে।ভোটাররা আরো বলে, উচ্চবৃত্ত  ও উচ্চ মধ্যবিত্ত অধিকাংশ বাসিন্দার এই ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত সামর্থে যারা যারা ভালো আছেন। তবে সিটি কর্পোরেশন থেকে পাওয়া সুবিধায় তারা তেমন একটা খুশি না। ভবিষ্যতে যে বিনা পক্ষপাতিত্বেসর্বদা পাশে থাকবেএমন কাউকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। এ সকল বিষয়ে সর্বপ্রথম আলাপ করা হয় সমাজসেবক ও মহানগর যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী শাহীন শিকদার এর সাথে।তিনি বলেন, টানা ২০ বছরওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিয়েছেন। প্রয়োজনে তাদের বাড়ির ময়লা ও পরিষ্কার করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের ভরসায় না থেকে  ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্যবিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা, বৈদ্যুতিক তার ও সড়ক বাতির ব্যবস্থা করা, ওয়ার্ড এর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করার মত কাজগুলো তিনি করেছেন নিয়মিত ভাবেই। দীর্ঘ সময় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব কাজ করে গেছেন। বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা না করে জন ভোগান্তি দূর করতে ওয়ার্ডে ছোট ছোট চলাচলের সড়ক নির্মাণ করেছেন তিনি।  পরশ সাগরের পার্শ্ববর্তী ওয়াকওয়ের প্রায় ২০০ ফিট তার ব্যক্তিগত খরচে তৈরি করা। শিক্ষানুরাগী ও ব্যতিক্রমী চিন্তাধারা রাখা শাহিন শিকদার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিতই করতেন তাদের পড়ালেখায় অনুপ্রাণিত করার মত বিভিন্ন আয়োজন। শাহিন শিকদার বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করাই তার মূল লক্ষ্য। সকলকে ভেজালমুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করে দেয়া ও কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করারইচ্ছা ও পরিকল্পনা রয়েছে তার। এছাড়াও চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য তার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্যআজ থেকেই তিনিনগরীর চারপাশটিস্বনামধন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে চুক্তি করে রেখেছেন। যে চুক্তির আওতায় ঐ সকল ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে তার এলাকার বাসিন্দারা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবে।সর্বশেষ তিনি বলেন, মানুষের জন্য কিছু করতে কোন না কোনভাবে একটি সঠিক স্থান দরকার। সেজন্যই নির্বাচনে অংশ নেয়া। পূর্বে করেছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে করবেন সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে। তবে সেবা অব্যাহত থাকবে আজীবন।
আ স ম রাফি (জুয়েল) বলেন, নির্বাচনে প্রথম অংশ নিয়েছেন এলাকার মানুষের সেবা করার জন্য। নির্বাচিত হলে কিশোর গ্যাং মাদক, ইভটিজিং নির্মূল করবেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবেন। বিগত পাঁচ বছরে তেমন কোন কাজ হয়নি বলে জানান এই প্রার্থী। আর যা হয়েছে তা অপরিকল্পিত।নাগরিক সুবিধা বন্টন হয়নি সঠিকভাবে  কারণ তা কাউন্সিলর হওয়ার পূর্বেই নির্বাচনী ফাঁদ  হিসেবে রাজীব তা নিজস্ব লোকজনের মধ্যে বণ্টন করেছেন। তিনি আরো বলেন,ওয়ার্ডে  বর্তমান কাউন্সিলর রাজিব হোসেন খান এর বিরুদ্ধে কিছু বহিরাগতদের ভোটার করানোর অভিযোগ শুনেছেন তারা। ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের সময়তারা এই অভিযোগের অনেকটা সত্য তাও পেয়েছেন বলেন। ছেলেবেলা থেকে এই ওয়ার্ডে বড় হয়েও যখন অনেক ভোটারদের চিনতেই পারেননি তখন তিনি এই অভিযোগের বিষয়ে আরো নিশ্চিত হন। আলাপে জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাওয়া একটি বিষয়ের সততা জানতে চাওয়া হয় এই প্রার্থীর কাছে। বর্তমান কাউন্সিলর রাজিব রমজান মাসে একটি মহৎ কার্যক্রম পালন এর উদ্যোগ নেয়। কার্যক্রমের আওতায় ১৫৯ শিশুকেপুরো রোজার মাস মসজিদে এসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের বিনিময়ে একটি করে বাইসাইকেল উপহার দেয়ার কথা জানায়। চাঁদরাতে শিশুদের মাঝে এই উপহার বিতরণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত একজন শিশুর মধ্যেও তিনি তা বিতরণ করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জুয়েল বলেন, তিনি শুনেছেন তাদের কাছে একাধিক অভিভাবক এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগটি সত্য। শিশুদের আবেগ নিয়ে এ ধরনের খেলাসত্যিই ন্যাক্কার জনক বলে জানান তিনি। এতে করে শুধু কোমলমতি ওই শিশুদের মনই ভাঙ্গেনি একই সাথে তাদের ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। আলাপের পরে এমনই এক শিশুকেখুঁজে পাওয়া যায়।শিশুটির নাম অহিদুল ইসলাম অপু।সে অক্সফোর্ড মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। অপু জানায়,রমজানের শুরুতে একটি ব্যানারে এমন আয়োজন এর কথা জানতে পেরে রেজিস্ট্রেশন করে। সাইকেল উপহার পাওয়ার খুশিতে পুরো রোজার মাস নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে সে। শুধু সেই নয় তার সাথে অন্য সব শিশুরাও আনন্দের সাথে নামাজ আদায় করেছিল নিয়মিত। কিন্তু রমজান শেষ হয়, ঈদ শেষ হয় কিন্তু তাদের উপহার তাদেরকে দেয়া হয় না। দু একদিন পূর্বে তাদের জানানো হয়তাদের এই উপহার নির্বাচনের পর দেয়া হবে। এতে করে সবাই কষ্ট পেয়েছে। আদৌ উপহার পাবে কিনা এখন সেই দ্বিধায় রয়েছে তারা। অপু জানায় ভবিষ্যতে এমন আয়োজনে হয়তো তার আর অংশ নেয়া হবে না।
অপর প্রার্থী হোসনে মোবারক (রাজিব) জানান, আমি উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবক যুবতীদের জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করবো। মাদক থেকে উঠতি প্রজন্মকে দুরে রাখতে নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করবো।
নব্য প্রার্থী মেহেদী হাসান বলেন, জনসেবার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছেন। নির্বাচিত হলে ওয়ার্ড এর অপরিকল্পিত উন্নয়নগুলো সংশোধন করে সঠিক রূপায়ণের চেষ্টা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত মেয়র প্রার্থীর যোগ্য নেতৃত্বের আওতায় ১৬ নং ওয়ার্ড কে একটি আধুনিক উন্নত ও মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবেন। নির্বাচিত হতে না পারলেওজনগণের ভোগান্তি দূরীকরণে সর্বদা পাশে থাকবেন। সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হলেনির্বাচিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উন্নয়নের কথা কম অভিযোগ ও আক্ষেপের কথা বেশি  জানান এই ওয়ার্ডের ৫বারের  নির্বাচিত কাউন্সিলর মরহুম মোশারফ আলী খান বাদশার ছেলে মো আল জায়েদ খান (রছি)। সে জানায় তার বাবা পাঁচবার এবং মা একবার সহ মোট ৩০ বছর এই ওয়ার্ডের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবার অসমাপ্ত কাজ করতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ওয়ার্ডে কোন উন্নয়নী হয়নি বলেন তিনি। গত বছরের ৮ অক্টোবর তারা বাবা মারা যাওয়ার পর রাজিব একরকম তাদের কাছ থেকে জিম্মি করে এই কাউন্সিলরের চেয়ারটি ছিনিয়ে নেয়। তাদের বাড়ির কাজ চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই সময় রাজীব তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করে।তাই এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। রছি বলে, তার বাবা জীবিত অবস্থায় বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করে রাজীব তাকে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেয়। ৩০ বছরের নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি কে নিজের অফিসে পর্যন্ত ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ করে রছি। মেয়রের ক্ষমতাকে পুরোপুরি ব্যবহার করে রাজিব এ সকল কাজ করে বলে জানায় সে। রাজিবের ধীরে ধীরে করা এ সকল কর্মকান্ডের কারণে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে সে। এবার ভোটে জেলা ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় দূর দূরান্তের জেলা শহর থেকে ধরে এনে রাজিব নতুন ভোটার তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করে সে। মেয়রের মদদপুস্ট  হওয়ায় এতদিন চাইলেও কিছু করতে পারেনি রাজিবের। রাজিবের কাছে তার পরিবার পিতার মৃত্যুর পর বারবার নির্যাতিত হয়েছে। তাই নির্বাচনে অংশ নিয়ে পিতার স্থান ফিরিয়ে আনাও ওয়ার্ডবাসীর সার্বিক উন্নয়ন সাধন তার প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানায় সে।এসকল বিষয় সর্বশেষ আলাপ করা হয় বর্তমান কাউন্সিলর রাজিব হোসেন খানের সাথে। সে জানায়, ওয়ার্ডে তেমন কোন সমস্যা নেই। রাস্তা ও ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। যা মেয়র সাহেবের কাছে অনুরোধ করে তিনি এনেছেন। মাত্র তিন মাস তার দায়িত্বের মেয়াদ। এরমধ্যে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। পূর্বে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পাশে থেকেছেন। এখনো আছেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন। তবে আদৌ থাকতে পারবেন কিনা এমন সংখ্যা প্রকাশ করে রাজিব বলে, ভোটে অংশ নেয়ায় তাকে বারবার হুমকি দেয়া হচ্ছে। মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। এমনকি তাকে গুম করে ফেলা হবে বলেওভয় ভীতি দেখাচ্ছে একটি মহল বলে জানায় রাজিব। এজন্য সে সর্বদা সিসিটিভির আওতায় থাকেন। তার উপরে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে রাজিব বলে। করোনা কালীন সময়ের পর থেকে সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ আলি খান বাদশা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনিই রাজীবকে দিয়ে তার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করাতেন। রাজিব বলে বাদশা কাকু নিজেই আমাকে নির্বাচনে আসতে উদ্বুদ্ধ করতেন। তার মৃত্যুর পর তার পরিবারকে জিম্মি করে চেয়ার দখলের বিষয়ে রাজিব বলে, প্লান বহির্ভূতভাবে বাড়ি তৈরি করায় তার ভবনের কাজ বন্ধ ছিল। এটি সিটি কর্পোরেশনের একটি নিয়মতান্ত্রিক বিষয়। মৃত্যুর পর সহানুভূতি দেখিয়ে ভবনের কাজটি পুনরায় শুরু করতে দেয়া হয়। এখানে সে কিভাবে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে নির্বাচনে তাদের পট আটকেছে তা তার বোধগম্য নয়। মূলত মোশারফ আলী খান বাদশাসিটি কর্পোরেশনের নিয়ম বহির্ভূত নানা ধরনের কাজ করতেন। তার নামে বে নামে একাধিক স্টল ছিল। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। রাজিব বলে কাউন্সিলর পদটি কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে। কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য এই পদ ছিনিয়ে নেয়া যাবে না। বাইরের বাসিন্দাদের ভোটার বানানোর বিষয়ে রাজিব বলে, এমন কাজ সে করেনি। এ ধরনের কাজ করেছে মরহুম সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ আলি খান বাদশা। এই বিষয়টিপুরো বরিশালের মানুষ জানে। শিশুদের সাইকেল প্রদানের বিষয়ে রাজিব বলে, সে সকল শিশুর কাছ থেকে তাদের রেজিস্ট্রেশন ফরম সংগ্রহে রেখেছেন। শুধুমাত্র নির্বাচনী জটিলতার কারণে শিশুদের হাতে সাইকেল তুলে দিতে পারছেন না। আগামীকাল যদি তাকে বলা হয় যে সাইকেল বিতরণের প্রোগ্রাম করলে তার নির্বাচনে কোন সমস্যা হবে না, আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ভার তার মাথায় উঠবে না তবে সে আগামীকালই সকল শিশুদের মাঝে সাইকেল বিতরণ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ১৬ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৬৯১ জন। দুইটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT