4:31 pm , May 17, 2024

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের আনারস প্রতীকের প্রার্থীর তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বি কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে মুরাদিয়া ইউনিয়নে তিন কর্মীকে মারধর করা হয়। আহতরা হলো চরগরবদী গ্রামের মো. খোরশেদ হাওলাদারের ছেলে মো. ঝন্টু হাওলাদার, গঞ্জর হোসেন খানের ছেলে মো: ফারুক হোসেন খান ও আতাহার শরীফের ছেলে আবদুর রাজ্জাক।
মারধরের শিকার ঝন্টু হাওলাদার জানান, দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এমন সময় প্রার্থী আমিন হাওলাদার কাওসারের গাড়ী দেখতে সাইড দেন। এ সময় প্রার্থী কাওসার ও তার কর্মীরা গালি দেয়। পাশ কাটিয়ে যাওয়ার তার গেঞ্জির কলার ধরে টিপু নামের এক কর্মী টেনে প্রার্থী কাওসারের কাছে নেয়। তখন প্রার্থী কাওসার কি বললি বলেই মারধর শুরু করে। এরপর তার লোকজন যে যেভাবে পারে মারধর করেছে। এ সময় সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছে। তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেয়। তাকে রক্ষায় একই গ্রামের ষাটোর্দ্ধ আবদুর রাজ্জাক এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে প্রার্থী কাওসার ও তার লোকেরা।
মারধরের শিকার ব্যক্তিরা জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী জনসংযোগকালে আচরণবিধি ভংগ করার অভিযোগে প্রার্থী কাওসারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ওই দিন সন্ধ্যায় আনারস প্রতীকের সমর্থক গঞ্জর হোসেন খানের ছেলে মো: ফারুক হোসেন খানকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত ফারুক এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অভিযোগের বিষয়ে কোন কথা বলেননি প্রার্থী কাওসার। আনারস প্রতীকের প্রার্থী মেহেদী হাসান মিজান জানান, নির্বাচনী মাঠে টিকতে না পেরে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধী পক্ষ। তবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্থানীয় থানাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলেও তিনি জানান। তিনি এক ফেসবুক লাইভে বিরোধীদের ফাদেঁ পা না দিয়ে সর্মথকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার চালানোর জন্য কর্মী সমর্থকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।