2:10 pm , December 11, 2021
চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসনের ঢালচর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটর দক্ষিনের সাগরে ২১ জেলে নিয়ে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন মা শামসুননাহার নামের মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ৭ দিন পরে আরোও তিন জেলেকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। এনিয়ে ওই ট্রলারের ২১ জেলের মধ্যে ৪ জনকে জীবত উদ্ধার করা হয়েছে। অপর ১৭ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। গত রোববার ( মাছ ধরার ষ্টিল বডির বিশেষ জাহাজ) এফবি আর এস এল-৫ নামের একটি ট্রলিং জাহারের ধাক্কায় ওই মাছ ধরা ট্রলার ডুরির ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে এই তিন জেলেকে জীবিত উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলে শাহিনের বাবা সেকান্তর বেপারী জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে চট্রগামের বাঁশখালী ঘাটের এফবি শাকিব নামের একটি ট্রলারে প্রধান মাঝি গিয়াস উদ্দিন আমাদেরকে মোবাইল ফোনে জানায় ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ আমার ছেলে শাহিনসহ আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নরে ১নং ওয়ার্ডের আবদুল খালেক, চরমানিকা ইউনিয়নের হারুন, বঙ্গোপসাগর ভাসতে দেখে তাদেরকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে তারা ওই ট্রলারে সাগরে আছেন এবং সবাই সুস্থ্য আছেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী ঘাটের ট্রলার এমবি শাকিবের প্রধান মাঝি গিয়াসউদ্দিন জানান, গত রোববার দূর্ঘটনার পরের দিন সোমবার বিকেল ৪টায় দূর্ঘটনায় কবলীত ট্রলারের ৩ জেলেকে কাঠের ফালা ধরে দূর্ঘটানাস্থলের প্রায় ১০ কিলো দক্ষিনে সাগর ভাসতে দেখে তাদেরকে উদ্ধার করি। গভীর সাগারে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিছন্ন থাকায় তাদের পরিবারকে খবর দেয়া যায়নি। নেটওয়ার্কের ভিতরে এসে তাদের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। মাছ ধরার ট্রিপ শেষে কয়দিনের মধ্যেই উদ্ধারকৃত জেলেদেরকে নিয়ে তারা বাঁশখালী ঘাটে ফেরার কথা রয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলে ট্রলারের হাফিজ আহমেদ খন্দকার নামের এক জেলেকে মহিপুর ঘাটের জেলেরা ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন। এনিয়ে ৪ জেলে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জেলেদের মধ্যে বাচ্ছু মাঝি, আলামিন মাঝি, সুমন, ফারুক হাওলাদার, জাবেদ, ইউছুফ, জসিম জমাদার, রফিক, মোঃ বাচ্চু, নুরুল ইসলাম, নুরে আলম, আবুল বাসার, দিন ইসলাম, নাগর মাঝি, জসিম,মোঃ আলীসহ ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। চরফ্যাসনের চর মানিকা জোনের কোষ্টগার্ড কন্ট্র্রিনজেন্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ জানান, ৩ জেলে জীবিত উদ্ধারের খবর জেলে পরিবার জানিয়েছে। বিষয়টি কোষ্টগার্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।