ঝালকাঠির তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা ঝালকাঠির তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা - ajkerparibartan.com
ঝালকাঠির তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা

2:43 pm , September 5, 2021

 

ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির সাংবাদিক বাচ্চুসহ তিন জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে করা মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে মতানৈক্যের কারনে এ ধরনের মিথ্যা ঘটনায় মামলা করা হয়েছে বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ১৭ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে প্রার্থনা জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। ঝালকাঠি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সাথে ভবিষ্যতে নেতৃবন্দ ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডের ক্ষেত্রে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, প্রভাষক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুসহ ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ২০ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মালা করে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান গ্রামের জেসমিন আক্তার নুপুর। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় এসআই মনিরুল ইসলাম।
ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সদস্য হতে ব্যর্থ হয়ে শাওন মোল্লার সাথে সাংবাদিকদের বিরোধের জের ধরে এ মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। মামলার বাদী শাওন মোল্লার বোন। তাই মামলার সঠিক তদন্তের দাবি জানানো হয়ে ছিল। পুলিশ এই তথ্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই সাংবাদিকদের কোন রকম হয়রানী না করেই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উম্মোচন করে আদালতে চুঢ়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে। তদন্তে ঘটনার সময় আসামীরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে প্রমান পায় তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্তে আরো উল্লেখ করা হয় বিবাদীরা ৩ জনই রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বস্ব দায়িত্বে ছিলেন। এ সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও শাওন মোল্লা ঘনিষ্ট বন্ধু। মিজান বন্ধু শাওন মোল্লাকে (বাদিনীর ভাই) সংগঠনের সদস্য পদ দেয়ার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। তাই বিবাদীদের মানসম্মান ক্ষুন্ন ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে শাওন মোল্লা তার বোনকে বাদী করে মামলা করেছে। তাই মামলার তদন্তকালে স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে স্বাক্ষ্য প্রমান মিলেনি। স্বাক্ষ্য প্রমানে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত না হওয়ায় চড়ান্ত রিপোর্টের শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১৭ ধারায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে প্রার্থনা করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT