ইয়াসের প্রভাবে ভান্ডারিয়ায় প্রায় ৩৫০ হেক্টর পান বরজসহ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি ইয়াসের প্রভাবে ভান্ডারিয়ায় প্রায় ৩৫০ হেক্টর পান বরজসহ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি - ajkerparibartan.com
ইয়াসের প্রভাবে ভান্ডারিয়ায় প্রায় ৩৫০ হেক্টর পান বরজসহ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি

3:23 pm , May 27, 2021

 

ভা-ারিয়া প্রতিবেদক ॥ ভা-ারিয়ায় সুপার সাইক্লোন ইয়াস এবং পূর্ণিমার প্রবল জোয়ারের পানিতে ভা-ারিয়া পৌর শহর সহ উপজেলার বাকি ছয়টি ইউনিয়নে ৩৫০হেক্টর পান বরজ সহ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন ভূক্তভোগীরা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। গতকাল (২৭মে) বৃহস্পতিবার দিনভর সরেজমিনে গিয়ে এসকল অঞ্চলের এ চিত্র দেখা গেছে। পূর্ণিমার পর দ্বিতীয় দিনে জোয়ারে পানি প্রবল আকার ধারন করায় কচাঁ এবং পোনা নদীর বেরি বাঁধ উপচে ভা-ারিয়া পৌর শহর, চরখালী-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহা সড়কের ইকড়িতে বাসস্ট্যান্ড নামক স্থানে পানি জমা হয়ে জনচলাচালে বিঘেœর সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়দের দাবি।
অন্যদিকে ওই ইউনিয়নের প্রায় ১হাজার থেকে ১২শ পরিবারের মূল আয়ের উৎস্য পান চাষ। সরেজমিনে আলাপ কালে ইন্দুমতি হালদার, দ্বিপ্তি রানী, কানাই লাল মজুমদার সহ একাধিক পান চাষিকে পানিতে ক্ষতি হওয়া বরজের পান লতার নিচের অংশের অপরিপক্ক পান সংগ্রহ করা এবং ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য বরজের পরিচর্যায় ব্যাস্ত দেখা গেছে।
পানচাষী সনৎ সরকার জানান, পূর্ব-পুরুষের আদি পেশা পান চাষ। আম্ফানে ক্ষতির পর বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বরজগুলো ঠিক করেছিলাম। হঠাৎ সুপার সাইক্লোন ইয়াস এবং বৌদ্ধ পূর্ণিমার প্রবল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে ফের বরজের ক্ষতি হল। প্রায় ২/৩ফুট পানিতে ডুবে আছে পান বরজ গুলো। এই ভাবে আর ২/১দিন থাকলে পানের লতা ও পাট কাঠি নষ্ট হয়ে যাবে। আবার পানি যখন নামতে শুরু করবে তখন এগুলো পুনরায় নতুন করে গড়তে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আমরা এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবনা। এ জন্য সরকার যদি সুদমুক্ত ঋন দিলে হয়ত তার কিস্তি আস্তে আস্তে পরিশোধ করে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব। যদিও সরকারি হিসেবে ২২০হেক্টর জমিতে পান চাষ হয় । ভা-ারিয়া উপজেলা পান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার দাস জানান, এ উপজেলায় প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করে প্রায় ২হাজার থেকে ২২শত পরিবার এই পান চাষের উপর নির্ভরশীল।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আবদুল্লাহ্ আল মামুন জানান, এ উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়। তারা সবাই এই পেশার উপর নির্ভরশীল। তিনি আরো জানান, উপজেলায় ১২শ হেক্টর জমির আউশ ধানের ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়াও মরিচ,ভূট্টা,শাক সবজি সহ মৌসুমি কৃষির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। তবে পানি নামার পড়ে সঠিক ক্ষয় ক্ষতির পরিমান বোঝা যাবে।
এদিকে উপজেলার তেলিখালি ইউনিয়নটি বলেশ্বরের মোহনা কচাঁ তীরবর্তী হওয়ায় সেখানে দ্বিতীয় দিনে নদী ফেপে পানির উচ্চতা প্রায় ৬/৭ফুট বৃদ্ধি পেয়ে ওই এলাকা তলিয়ে যায়। তবে ভাটায় সে পানি নেমে যায় বলে জানান সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহআলম হাওলাদার। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বাস্তবায়নে কিছু কিছু এলাকায় শুকনা খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে স্ব স্ব এলাকার ভূক্তভোগীরা জানান। তবে প্রশাসনের দাবি তারা দুর্যোগ কবলিত এলাকায় সঠিক ভাবে শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন।
রেড ক্রিসেন্টের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন মহারাজ জানান, আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের মাধ্যমে শুকনা খাবার সহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি তার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এবং জেলা, উপজেলা প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে ভূক্তভোগীদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT