চরখালী -টগড়া ফেরিঘাটে ট্রলার পাড়াপাড়ে ব্যাপক অনিয়ম: হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা চরখালী -টগড়া ফেরিঘাটে ট্রলার পাড়াপাড়ে ব্যাপক অনিয়ম: হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা - ajkerparibartan.com
চরখালী -টগড়া ফেরিঘাটে ট্রলার পাড়াপাড়ে ব্যাপক অনিয়ম: হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

3:54 pm , March 10, 2024

কবির খান, ভা-ারিয়া ॥ পিরোজপুরের ভা-ারিয়ার চরখালী -টগড়া  ফেরিঘাটে ট্রলার পাড়াপাড়ে অনিয়মই এখন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। এ ঘাটের মাঝিরা কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না। কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দিনের পরদিন এ টলার মালিকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই এ খেয়াঘাটের মাঝিরা জন প্রতি ২০ টাকা ও মটোরসাইকেল ও ভ্যান প্রতি ৫০ টাকা করে ধার্য্য করা হলেও তারা এখন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। গত শনিবার রাতে কঁচা নদীর টগড়া-চরখালী ফেরিকে একটি জাহাজ ধাক্কা দেয়। ফলে ফেরি ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা ও খুলনা সহ দেশের ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে গত রাত থেকে পিরোজপুরের সাথে দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এই সুযোগে ঘাটের ট্রলার পাড়াপাড়ে মাঝীরা জন প্রতি ৩০ টাকা ও প্রতি মটোরসাইকেল ও ভ্যান পাড়াপারে ১ শত টাকা থেকে দেড় শত টাকা অতিরিক্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। তবে রাতের বেলা আবার জন প্রতি মানুষের কাছ থেকে ৪০ টাকা ও প্রতি মটোরসাইকেলের কাছ থেকে ৫ ‘শ থেকে ৭ ‘শ টাকা প্রযর্ন্ত আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে  যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি ১০ মিনিট পরপর ট্রলারে অতিরিক্ত মানুষ ও মোটরসাইকেল বোঝাই করে চরখালী থেকে টগড়া পাড়াপাড় করছে। এ পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ ও যানবাহন। যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ভ্যান। তার উপর অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল ছাড়াও রয়েছে দশের অধিক মোটরসাইকেল বহন করার অভিযোগ। এসব অনিয়ম কখনোই চোখে পড়ে না জেলা-উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এ ঘাটে কেন নিলাম হচ্ছে না এবং নিয়ম নীতি চালু করার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা । ভুক্তভোগী নাজমুলের অভিযোগ , আমি বহুবার ৪০ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পাড়াপাড় হয়েছি কিন্তু ফেরি বন্ধ হওয়ায় আজকে দেড়‘শ টাকা দিয়ে পাড় হতে হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত টলার ড্রাইভার লাল মিয়া বলেন, আমি প্রতি মোটরসাইকেল থেকে ১ ‘শ টাকা করে নিয়ে পাড়াপাড় করেছি। কিন্তু কবির,কুদ্দুস,রাজু ও চান মিয়া অনেক বেশি নিচ্ছে। ভা-ারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, খুব দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যাতে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT