যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ॥ মঠবাড়িয়া-শরণখোলা খেয়া পরাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ॥ মঠবাড়িয়া-শরণখোলা খেয়া পরাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ - ajkerparibartan.com
যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ॥ মঠবাড়িয়া-শরণখোলা খেয়া পরাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

2:11 pm , April 28, 2021

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদের বড়মাছুয়া আন্তর্বিভাগীয় খেয়াঘাটে নির্ধারিত টোলের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজার সীমানায় বলেশ্বর নদ ট্রলারে পারাপার হতে হয়। এ খেয়াঘাট থেকে প্রতিদিন খুলনা, বাগেরহাট, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, বরগুনা, পাথরঘাটা, বামনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে। খেয়া পারাপারে সরকার নির্ধারিত টোল জনপ্রতি ৫ টাকা এবং মোটরসাইকেল চালকসহ ১০ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইজারাদার জনপ্রতি ১‘শ থেকে ৩‘শ টাকা এবং মোটরসাইকেল চালকসহ ৩‘শ থেকে থেকে ৫‘শ টাকা করে আদায় করছেন। এ ছাড়া যাত্রীদের সঙ্গে দুই থেকে তিন কেজি ওজনের মালামাল থাকলে আরও অতিরিক্ত ৩০-৪০ টাকা দিতে হয়। বলেশ্বর নদের দুই তীর বড়মাছুয়া ও রায়েন্দা খেয়াঘাট সংলগ্ন টোল চার্ট বোর্ড টাঙিয়ে নির্ধারিত টোল আদায়ের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এছাড়া যাত্রীদের ওঠা-নামার জন্য ইজারাদারের ঘাট নির্মাণের নিয়ম থাকলেও তাঁরা ঘাট নির্মাণ না করে বড়মাছুয়া ও রায়েন্দার বিআইডব্লিউটিএ‘র পন্টুন ব্যবহার করছেন। এতে খেয়ার প্রত্যেক যাত্রীকে অতিরিক্ত ৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগে ইজারাদার ছালাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া উপজেলার জুনিয়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমান হাওরাদারের ছেলে বারেক হাওলাদার মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের জুয়েল খান (৩৮) বলেন, ‘আমি প্রায়ই এই খেয়া পার হয়ে শরণখোলা আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া-আসা করি। পন্টুন ভাড়া ৫ টাকা ও খেয়া ভাড়া ১‘শ থেকে ২‘শ টাকা দিতে হয়। কখনো ভাড়া কম দিতে চাইলে খেয়াঘাটের লোকজন খারাপ আচরণ করেন। একই অভিযোগ উলুবাড়িয়া গ্রামের আঃ জব্বার মিয়া (৬৮) করেন। এ ব্যপারে ইজারাদার ছালাম হাওলাদার অতিরিক্ত টোল আদায়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, মাত্র ১০ দিন হয় ইজারা নিয়েছি। আমি জনপ্রতি ৫০ টাকা ও লোকসহ মটরসাইকেল ১‘শ টাকা নেই।
বড়মাছুয়া চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সুরহার জন্য শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। খুলনা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) সুবাস চন্দ্র সাহা এ বিষয় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকার অনুমোদিত ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোন সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT