2:01 pm , September 24, 2020
চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত একটি মামলা নিয়ে এলাকায় জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গত ২৫ আগস্ট চরফ্যাসনের কুলসুমবাগ গ্রামের এক গৃহবধূ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রতিবেশী আরব আলীসহ ৪জনকে আসামী করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তে করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চরফ্যাসনের একটি নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন। ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত ৪২৩/২০২০ মামলার বাদিনী আর্জিতে অভিযোগ করেন, গত ২৩ আগস্ট রাত অনুমান ৯টায় কুলসুমবাগ গ্রামের বাদিনীর রান্নাঘরে আসামী প্রথম আসামী আরব আলী (৫০) তার ডান হাত দিয়ে স্তন চিপতে থাকে,দ্বিতীয় আসামী শাহে আলম আমার (বাদিনীর) যৌনিাঙ্গে তার হাত দেয়,তৃতীয় আসামী বাছেদ আমার রানে চিপতে থাকে এবং চতুর্থ আসামী কামাল আমার গালের ডান পাশে কামড় দেয়। আসামীদের সাথে পাছড়া পাড়ছিতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা থেতলানো রক্তাক্ত জখম হয়।’ আসামীদের মধ্যে আবর আলী এবং কামাল মামা ভাগ্নে। একই সময় একই স্থানে দুইজন নিকটাত্মীয়সহ ৪ গ্রামের চারজন মিলে এমন কান্ডের দাবীর যৌক্তিকতা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন উঠেছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, মামলার বাদিনী এবং প্রথম আসামী আরব আলী নিকটতম প্রতিবেশী। বাড়ির দড়জার জমি নিয়ে বাদিনী ও আরব আলীর পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বাদিনীর দায়েরকৃত মামলাটি দুইপক্ষের মধ্যে দায়েরকৃত ৪র্থ মামলা। ইতিপূর্বে বাদিনীর স্বামী মাইন উদ্দিন ১টি, প্রতিপক্ষ আবর আলীর স্ত্রী বিবি হাজেরা ২টিসহ পরস্পরের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করেছিলেন।চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,চরফ্যাসন থানা এবং চরফ্যাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপর মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল।সব গুলো মামলা চলমান আছে। বাড়ির দড়জার সামান্য জমির মালিকানা বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলার তালিকায় শেষ যোগ হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এই মামলাটি।