মহিপুরে নিজামপুর বেরিবাঁধ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ মহিপুরে নিজামপুর বেরিবাঁধ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ - ajkerparibartan.com
মহিপুরে নিজামপুর বেরিবাঁধ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ

3:21 pm , August 25, 2020

প্রতিবেদক ॥ মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজামপুর বেরিবাঁধ নির্মান কাজ শেষ হওয়ার এক বছর না যেতে ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে। ফলে এক যুগ পর পানিবন্ধী দশা থেকে এলাকাবাসী মুক্তি আশ্বাস পেলেও, আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে পুরনো সেই দুর্ভোগের চিত্র। আর এর কারন হচ্ছে, গত এক বৎসর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত প্রকল্প প্রনয়নসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিন্মমানের কাজ। বিগত ২০১৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে ভেংগে যায় বন্যা নিয়ন্ত্রন এই বেরিবাঁধ। এরপর কয়েক দফা পুনঃনির্মাণ এর জন্য কাজ করা হলেও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যার কারনে প্রতি বৎসর এই মৌসুমেই আবার ভাঙ্গনের শুরু হয় । স্থানীয়রা জানায়, এতে বছরের প্রায় ছয় মাস ৮ হাজার মানুষকে দুই দফা জোয়ারের পানিতে বন্ধী হয়ে থাকতে হয়। নদীর পনিতে বিলিন হয়ে যায় বিলীন ফসলি জমি, বসত ভিটা, মৎস চাষের খামার। জানা যায়, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৭/১ পোল্ডারে ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৮৮৫ মিটার বাঁধ নির্মান কাজ গত ৩০ জুন সম্পন্ন করে।
যখন ৫ প্যাকেজে ৪টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে, কাজের শুরুতেই স্থানীয়রা কাজের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করে। তারা তাতেও কোন সমাধান না পেয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। স্থানিয়রা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ বাঁধ নির্মানের জিও ব্যগের ভিতরে থাকা বালু ও সিমেন্ট ১ মাসের ভিতরে একত্রিত হয়ে জমাট বেধে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু গত ৩০ জুন এ কাজ শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত তা জমাট বাঁধেনি জিও ব্যগের বালু, সিমেন্ট। আর এর কারন ব্যাগের ভিতরে বালুর থেকে সিমেন্টের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আর এই অপরিকল্পিত কাজের কারনে বৎসর না ঘুরতেই বিলিন হতে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ের এই নিজামপুর বেরিবাঁধ। যার কারনে পানিবন্ধী হয়ে পরে নিজামপুর ও সুধীরপুরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আংশ। স্থানীয় হানিফ চৌকিদার জানান, কাজের সময় আমরা অনিয়মের প্রতিবাদ জানাই কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে কর্নপাত করেনি। নিজমপুরের বাসিন্দা নুরজামাল হাওলাদার জানান, কাজ শেষ হইছে ৩ মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যাগের ভিতরে বালু জমাট বাঁধেনি যার খেসারত আমাদের গ্রামবাসীদের দিতে হচ্ছে। স্থানীয় মোঃ সালাউদ্দিন জানান, প্রতি বছরে সরকারি ভাবে বেরিবাধ নির্মাণ করার জন্য মোটা অংকের বরাদ্দ আসে, কিন্তু নামমাত্র কাজ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, কিন্তু মোটা অর্থ ভাগাভাগি করে খায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মুসফিকুর রহমান শুভ বলেন, আমাদের জানামতে কাজের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়নি। তবে আম্ফান বন্যার কারনে কাজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হইছে যা আমরা পূনরায় নির্মান করে দিয়েছি।
এখন সব থেকে অগুরুত্বপূর্ণ এটই যে, তদন্ত এবং বেরিবাঁধ পুনঃনির্মান এর মাঝে আটকে আছে ৮ হাজার মানুষের ভাগ্য, বাসস্থান, জীবিকা নির্বাহ এবং শিক্ষা। তাই বিপর্যিত এই ৮ হাজার মানুষের একটাই দাবী এবং আস্থা বর্তমান সরকার এই বিষয় গুরুত্ব আরোপ করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT