3:17 pm , January 28, 2020
চরফ্যাসন প্রতিবেদক॥ স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে শাবনাজ ( ১৮) নামের এক গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ জানুয়ারী ঢাকার ধামরাই থানার বাথুলী এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনা নিহতের মা মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে মেয়ের জামাতা হাসানসহ ৬ জনকে আসামী করে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত নিহতের স্বামী মো.হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। নিহতের নিহত শাবনাজ চরফ্যাসনের মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর নাজিমউদ্দিন গ্রামের মৃত শাহ আলমের মেয়ে ।
নিহতের মা মাকসুদা অভিযোগ করেন, গত ৭ মাস পূর্বে চরফ্যাসন থানার মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর নাজিমউদ্দিন গ্রামের অজিউল্লাহর ছেলে মো. হাসানে সাথে প্রেমপ্রণয়ের মধ্যেমে তার মেয়ে শাবনাজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার ঢাকার ধামরাই থানার বাথুলী এলাকার বাদশা মিয়া বাসায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। মেয়ের জামাতা হাসান ঢাকা ধামরাই গ্লোবাল স্টীল মিলে চাকুরী করতেন। তার স্বামী কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘনায় নিহত হন। তার পর থেকে তিনি ও ঢাকার শেখের টেক এলাকায় বাড়াটে বাসায় থেকে গামেন্টস শ্রমিকের কাজ করতেন। তার মেয়ের জামাতা মো. হাসান বিয়ের পর থেকে যৌতুক হিসেবে মায়ের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ দেয় । এতে মেয়ে শাবনাজ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে গত ২৬ জানুয়ারী রাতে তাকে বেধরক মারধর করে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন শাবনাজ। এঘটানায় তিনি বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্রচোরনার অভিযোগ মেয়ের জামাতাসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধামরাই থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা জানান, এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স¦ামী হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত চলছে । তদন্ত স্বাপেক্ষে অপর আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।