ফেরীর গ্যাংওয়ে দেবে গিয়ে আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরি চলাচল বন্ধ ফেরীর গ্যাংওয়ে দেবে গিয়ে আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরি চলাচল বন্ধ - ajkerparibartan.com
ফেরীর গ্যাংওয়ে দেবে গিয়ে আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরি চলাচল বন্ধ

3:12 pm , September 14, 2019

পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদী মোহনায় আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফেরঘিাটের আশোয়া ঘাট এলাকার গ্যাংওয়ে সন্ধ্যা নদীর ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে ঘাটে নোঙর করা ফেরিটি ৪/৫ মাটিতে দেবে আটকা পড়ায় এ রুটে শনিবার সকাল ভোর থেকে ফেরি পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এতে তিনটি রুটের সরাসরি সড়ক যোগাযোগবন্ধ হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরি চালক মো. আরিফ হোসেন ফেরি নদী ভাঙনের ফেরি দেবে পারপার বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার দিনগত রাতে এ রুটের আশোয়া ঘাটে ফেরিটি নোঙর করা ছিল। রাত দুইটার দিকে হঠাৎ করে ঘাট এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এসময় ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে দেবে যায়। ফেরিটি ঘাট এলাকা থেকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেওয়ার আগেই ভাঙনের কবলে পড়ে ফেরিটি পন্টুনসহ ৪/৫ ফুট দেবে যায়। আজ শনিবার ভোর ছয়টার দিকে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেলে পুরোঘাটটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে ফেরিটি আটকা পড়ে যায়। ক্রেন এর সাহায্য ছাড়া ফেরি স্থানান্তরের কোন উপায় না থাকায় বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় এ স্বরূপকাঠি-কাউখালী-পিরোজপুর, স্বরুপকাঠি-খুলনা ও পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি-বানারী পাড়া রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। গ্যাংওয়ে মেরামত ছাড়া ফেরি চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা। স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, কাউখালীর সন্ধ্যা নদী ও গাবখান মোহনায় আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরি ২০০৫ সালে চালু করা হয়। তৎকালীন সংসদ সদস্য শহীদুল হক জামাল ফেরিঘাটটি উদ্বোধন করেন। এসময় ১৯৮৩ সালে তৈরী দুটি পন্টন স্থাপন করে ঘাটটি চালু করা হয়। কিন্তু নদী মোহনার ফেরিঘাটের দুই পারে ভাঙনে ফেরিঘাট বিপন্ন হয়ে প্রায়ই জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হলেও ভাঙন রোধে কোন পাইলিং কিংবা ব্লক নির্মাণ করা হয়নি। গত আগস্ট মাসে দুইবার ভাঙনের কবলে পড়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়েছিল। ফলে পুরানো পন্টুন আর ভাঙন কবলিত গ্যাংওয়ে দিয়ে এ রুটে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার চলে আসছে।
ফেরিঘাট ইজারাদার মো. আকবর হোসেন দুলাল বলেন, একদিকে পুরানো দুই পল্টুন আর দুই পারে নদী ভাঙনে ফেরিঘাটটি প্রায়ই বন্ধ হয়ে পড়ে। নদী ভাঙন রোধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ রুটটি এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমনকে কয়েকদফা মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT