3:18 pm , June 28, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক বারেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েেেছন পুলিশের কর্মকর্তারা। নির্যাতিতা ওই ছাত্রী নগরীর রসুলপুরচরের আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার জন্মের পরপরই তার বাবা উধাও হয়। পরে তার মা আরেকটি বিয়ে করে তাদের নিয়ে রসুলপুর চরে বসবাস করে। ওই ছাত্র জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সে পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে মায়ের কাছে খাবার চায়। ঘরে খাবার না থাকায় তার মা তাকে পাশ্ববর্তী দোকানে খাবার কেনার জন্য পাঠায়। পথে একই এলাকার বাসিন্দা বারেক হাওলাদার তাকে আম ও বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে নিজের বাসায় নিয়ে ধর্ষন করে। নির্যাতিতা ছাত্রী বাসায় গিয়ে মাকে ঘটনা জানায়। এদিকে ওই ছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ে বাসায় এসে তাকে যৌন নির্যাতনের কথা জানালে তিনি প্রতিবেশী কয়েকজন নারীকে নিয়ে বিষয়টি পরীক্ষা করেন। তিনি এক প্রতিবেশীকে বিষয়টি জানান। ওই প্রতিবেশী শিক্ষার্থী ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ এসে অভিযুক্ত বারেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীর মা বলেন, রসুলপুর চরে তার মেয়ের মতো অনেক শিশুর বসবাস। আর কোন শিশু যাতে এভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার না হয়, সে জন্য অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি। প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষার্থী মো. জীবন জানান, শিশুটি ধর্ষনের পর তার পরিবার ঠিক বুঝে উঠছিলা না কি করা উচিত। তাই তিনি স্বপ্রনোদিত হয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিছুক্ষন পরই পুলিশ অভিযুক্তকে বারেককে গ্রেফতার করে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। ওই মামলায় বারেকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এদিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মুশফিকুর রহমান রাজিব জানান, শিশুটিকে ধর্ষনের প্রাথমিক প্রমান পাওয়া গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরন করা হয়েছে।