রোজার মধ্যেও আবাসিক হোটেলে জমজমাট অনৈতিক ব্যবসা রোজার মধ্যেও আবাসিক হোটেলে জমজমাট অনৈতিক ব্যবসা - ajkerparibartan.com
রোজার মধ্যেও আবাসিক হোটেলে জমজমাট অনৈতিক ব্যবসা

3:07 pm , May 15, 2019

প্রতিবেদক ॥ পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় নিয়ম মেনে চলছে হোটেল ও রেন্টুরেন্ট ব্যবসা। ফুটপাটের ছোট-বড় কোনগুলোও ঢেকে দেয়া হচ্ছে পর্দা দিয়ে। কিন্তু পবিত্র এই রমজান মাসেও থেমে নেই আবাসিক হোটেলের অনৈতিক ব্যবসা। বরং প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধ এ ব্যবসা চলছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রমজান মাস শুরুর আগেই হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবী কোতয়ালী পুলিশের। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের মত করেই নগরীর সদর রোড, চক বাজার ও গির্জা মহল্লা এলাকার আবাসিক হোটেলে রমরমা অনৈতিক ব্যবসা চলছে। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়। আবার ভ্রাম্যমান দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার এমনই একটি চিত্র ধরা পড়ে আজকের পরিবর্তনের কাছে। নগরীর সিটি কর্পোশেনের পেছনে ও সাবেক বিউটি সিনেমা হলের সংলগ্ন গলিতে প্রবেশ করতে চোখে পড়ে রমরমা দেহ ব্যবসার চিত্র। গলির ভেতরে থাকা আবাসিক হোটেল পায়েল’র সামনে দাড়িয়ে খদ্দের ডেকে ডেকে ভেতরে নিয়ে যায় দুই দালাল। পরিবর্তন প্রতিবেদক সহ কয়েকজন সাংবাদিক ওই স্থানে পৌছানো মাত্রই তাদের সাথেও কথা বলে হোটেলের দালালরা। কজন ভেতরে যাবে তা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু একজনের হাতে ক্যামেরা দেখে চেপে যায় দুই দালাল। তাদের মধ্যে একজন বাদশা নামের ব্যক্তিকে ডাকার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। কিছুক্ষন পরে তিনি হোটের পাশে থাকা একটি ঘরে ঢোকে। বাইরে বেরিয়ে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে ওই ঘরের এক নারী দালাল। এদিকে হোটেল পায়েল এর সামনে বসে থাকা লম্বা দাড়িওয়ালা অপর ব্যক্তিও ক্যামেরা দেখে হোটেল ব্যবসার কথা অস্বীকার করে যান। পরে হোটেলের উপর তলায় যেতে চাইলে সেখানে নিয়ে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি। এমনকি দ্বিতীয় তলায় হোটেল কক্ষে মানুষের আলাপ পাওয়া গেলেও ভেতর থেকে গেট বন্ধ করে রাখা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় নগরীর চিহ্নিত পতিতা ব্যবসায়ী মনির হোটেল পায়েলে রোজার মধ্যেও অবৈধ দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য অবশ্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং কতিপয় হলুদ সাংবাদিকদের মাসহারা দিচ্ছে দেহ ব্যবসায়ী মনির। তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)’র সরকারি নম্বরে ফোন করা হলেও ওসি তা রিসিভি করেননি। পরে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনিও ব্যবস্থতার কারনে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে পরে ফোন করতে বলেন। এই একটি হোটেলই নয়, এর পাশর্^বর্তী হোটেল জিলানী, হোটেল সি-কুইনেও দেখা গেছে একই চিত্র। হোটেলের নীচে ট্রাফিক পুলিশের টেক পোস্ট চললেও দুটি হোটেলের মধ্যেই চলে রমরমা দেহ ব্যবসা। যা থানা পুলিশের দৃষ্টিতে আসছে না। পুলিশের রহস্যজনক নিরবতার কারনে তালিকাভুক্ত প্রায় প্রতিটি হোটেল নামক পতিতালয়ে দেহ ব্যবসা চলছে। এ প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার বিকালে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম এর সাথে পুনরায় যোগাযোগ করা হয়। এসময় তিনি ব্যস্ততার কারনে ফোন ধরতে পারেননি বলে দাবী করেন। রোজার মাসেও পতিতা ব্যবসা চলমান থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি হোটেলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া রয়েছে। ওরা আমাকে জানিয়েছে যে ওদের ব্যবসা বন্ধ। ওদের ব্যবসা চলমান থাকলে তবে আমাকে মিথ্যা বলেছে। তাই হোটেল গুলোতে দ্রুত অভিযান চালানোর কথাও বলেন ওসি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT