ফখরুলের আসন শূন্য ঘোষণা ফখরুলের আসন শূন্য ঘোষণা - ajkerparibartan.com
ফখরুলের আসন শূন্য ঘোষণা

3:29 pm , April 30, 2019

বিডিনিউজ ॥ নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মঙ্গলবার রাতে সংসদ অধিবেশন চলার মধ্যে স্পিকার সংসদ সদস্যদের সামনে এই ঘোষণা দেন। ফলে বগুড়া-৬ আসনটিতে নতুন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত পাঁচজন সংসদ সদস্য নানা নাটকীয়তার পর শপথ নিলেও দলটির মহাসচিব ফখরুল নেননি। তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। এটা তাদের ‘কৌশলেরই অংশ’। সেক্ষেত্রে ফখরুলের বিষয়ে কী হবে- এ প্রশ্নের জবাবে স্পিকার শিরীন শারমিন মঙ্গলবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শপথ না নিলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সংবিধানের ৬৭ (১) এর ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে ওই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন। একাদশ সংসদের কার্যক্রম গত ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়ায় ৯০ দিনের সেই সময়সীমা সোমবার পেরিয়ে যায়। শেষ দিনে বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেন, তার তিন দিন আগে নেন অন্যজন। বিএনপি মহাসচিব শপথ নিতে কোনো আবেদনও করেননি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান স্পিকার।
ভোটের পর বিএনপি শপথ না নেওয়ার ঘোষণা দিলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, কেউ ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে ওই আসন শূন্য ঘোষণার পর নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নেবেন তারা।
নানা নাটকীয়তার মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেওয়ার পর ফখরুল দুটি আসনে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। নিজের জেলা ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তিনি হারলেও বিজয়ী হন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ এ।
৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পুনর্র্নিবাচনের দাবি তোলে। সেই সঙ্গে ঘোষণা দেয়, তাদের জোট থেকে বিজয়ীরা শপথ নেবেন না। কিন্তু কিছু দিন পর ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ী গণফোরামের দুজন শপথ নিয়ে ফেলেন; এরপর গত ২৫ এপ্রিল বিএনপির একজন শপথ নেওয়ার পরও আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথাই জানিয়েছিল বিএনপি।কিন্তু ২৯ এপ্রিল চারজন শপথ নেওয়ার পর ফখরুল সংবাদ সম্মেলন করে জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ওই চারজন শপথ নিয়েছেন। তার শপথের বিষয়ে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট কিছু বলেননি ফখরুল; তবে একদিন বাদে জানান, তিনি সংসদে যাচ্ছেন না। সরকারি কলেজে শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সালের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফখরুল; খালেদা জিয়ার সরকারে প্রতিমন্ত্রীও হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হারেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের ফখরুলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ওই আসনে মহাজোট থেকে প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT