ভোট কেন্দ্রে ছিল আইন-শৃংখলার সদস্য- দলীয় নেতাকর্মী ॥ ছিলো না ভোটার ভোট কেন্দ্রে ছিল আইন-শৃংখলার সদস্য- দলীয় নেতাকর্মী ॥ ছিলো না ভোটার - ajkerparibartan.com
ভোট কেন্দ্রে ছিল আইন-শৃংখলার সদস্য- দলীয় নেতাকর্মী ॥ ছিলো না ভোটার

3:25 pm , March 24, 2019

সাঈদ পান্থ ॥ উপজেলা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিল সাড়ে ১১ হাজার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, ৩৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, হাজারো প্রিজাইডিং অফিসার। তবে ছিলনা শুধু ভোটারের উপস্থিতি। যদিও সরকারির দলের নেতাকর্মীদের ভীড়ে মুখরিত ছিল ভোট কেন্দ্রগুলো। এর মধ্যেও সরকারী দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ও বিভিন্ন দলের প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। রোববার সকাল ৮টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। কিন্তু ভোটার না থাকার কারণে অলস সময় কাটাচ্ছেন ভোট গ্রহণ সংশ্লিস্টরা। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে সরেজমিনে উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের জিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সরকার দলীয় প্রার্থী ব্যতিত অন্য কোন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। ওই কেন্দ্রের ৮টি বুথে সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত কোন ভোট ব্যালট বাক্সে পড়েনি। ভোটার উপস্থিতি না থাকার কোন কারণ জানাতে পারেননি ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। একই উপজেলার জয়শ্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৭টি বুথের মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুটি বুথে কোন ভোট পড়েনি। একটি বুথে একজন, একটি বুথে ৩জন এবং একটি বুথে ৪০ জনের ভোট জমা হয়। এই কেন্দ্রেও ভোটারের তেমন কোন উপস্থিতি দেখা যায়নি। ভোটার উপস্থিতি না থাকার কারণ হিসেবে ভোটাররা বিগত দিনের ভোট পদ্ধতিকে দায়ী করেছেন অনেকেই। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল নির্বাচনের আগের রাতে তার পোলিং এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানো এবং রোববার সকালে তার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। একই অভিযোগ করেছেন এই উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী জাসদ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদল। পার্শ্ববতি উপজেলা বাবুগঞ্জে চাদঁপাশা বোর্ড স্কুল কেন্দ্রে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৮ র্পসেন্ট। সদর উপজেলার কলাডেমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৮৯৫ ভোটারের মধ্যে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ১ পার্সেন্ট ভোট গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার। একইভাবে বিভিন্ন উপজেলায় ভোটার উপস্থিত খুবই কম ছিল।
নির্বাচনের সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিটি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি ৩ ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩ প্লাটুন করে বিজিবি, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভোটারদের মাঝে আস্থার সৃস্টি করতে পারেনি। রোববার বরিশালের ৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় তাদের ইতিমধ্যে নির্বাচিত ঘোষনা করেছে কমিশন। এ কারণে এই দুই উপজেলায় কোন ভোট গ্রহন হচ্ছেনা। এছাড়া বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ, মুলাদী ও বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা চেয়ারম্যান হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায়। বানারীপাড়া এবং বাবুগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জেলার ৭ উপজেলায় মোট ভোটার ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৫ জন। ৭ জেলায় ৪৮৫টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৩৭টি ভোট কক্ষ রয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT