প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসছে না Ñইসি প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসছে না Ñইসি - ajkerparibartan.com
প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসছে না Ñইসি

3:27 pm , March 20, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কয়েকটি দল নির্বাচনে না আসায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন হচ্ছে না। কোন কোন স্থানে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। তাই ওইসব নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ থাকছে না। তবে যেসব উপজেলায় শক্তিশালী প্রার্থী ছিলো সেসব উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন নির্বাচন ও ভোটারদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক। গতকাল বুধবার নগরীর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শুরু হওয়ার পূর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবেই হচ্ছে। ইতিপূর্বে দুটি ধাপে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রিজাইডিং অফিসাররা জেলেও গেছে। পরবর্তী নির্বাচনও হবে ফ্রি এন্ড ফেয়ার। এর ব্যতিক্রম এখানেও হলে সামান্যতম ছাড় দেয়া হবে না। এতে যদি প্রশাসনের লোকেরাও জড়িত থাকেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকালে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ভোট কারচুপি হয় সে জন্য আমাদের কমিশন এই উদ্যোগ নেয়নি। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং ভালোর কথা চিন্তা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অনেক নারী প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন। যাদের রাতভর ভোট কেন্দ্রে থাকতে হয়। আমাদের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের না ঘুমিয়ে থেকে আবার দিনভর নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতে তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয় বলেই আমরা দিনে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর কথা বলছি। এখানে অন্য কোন কারন নেই। সম্প্রতি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সম্পন্ন হওয়া ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি শতকরা ৪১ ভাগ ছিলো। কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনে এ হার ৭৫ পার্সেন্ট হয়েছে। এটাই আমাদের কাছে অনেক। তাছাড়া কয়েকটি দল নির্বাচনে আসেনি। তাই ওইসব দলের ভোটাররাও ভোট দিতে আসছে না। যে কারনে ভোটার উপস্থিতি কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সেটা বড় কোন ব্যাপার নয়। ‘তাছাড়া ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আশার দায়িত্ব শুধুমাত্র আমাদের নয়। প্রার্থীদের এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে। আমরা প্রার্থীদের বলেছি যে আপনারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য উস্যাহিত করুন। বিএনপি’র নির্বাচনে না আসার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নেয়ার কোন কারন দেখছি না। কেননা বিএনপি নির্বাচনে আসার জন্যই নিবন্ধিত হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তাদের কেউ বাধাও দিচ্ছে না। কিন্তু তার পরেও তাদের নির্বাচনে না আশাটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা আসেন সতুস্পুর্তভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে যান’। এদিকে আসন্ন ২৪ মার্চ বরিশাল জেলার ৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সার্কিট হাউসে নির্বাচন সংক্রান্ত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে বিশেষ সভায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, বিজিবি খুলনা’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আরশাদুজ্জামান খান, ডিজিএফআই’র অধিনায়ক কর্ণেল জিএম শরিফুল ইসলাম, র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস মিয়া সহ বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর ও ভোলা জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT