শেবাচিমে চার রোগীর করোনারী এনজিওগ্রাফি ও স্টেনটিং স্থাপন শেবাচিমে চার রোগীর করোনারী এনজিওগ্রাফি ও স্টেনটিং স্থাপন - ajkerparibartan.com
শেবাচিমে চার রোগীর করোনারী এনজিওগ্রাফি ও স্টেনটিং স্থাপন

3:17 pm , January 25, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আধুনিক পদ্ধতিতে তিন রোগীর করোনারী এনজিও গ্রাফি ও এক রোগীর এনজিও প¬াষ্টি এবং স্টেনটিং স্থাপন অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে রোগীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার কার্ডিওলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন’র আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে তারই সহপাঠি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রফেসর ও কোর্স কো-অডিনেটার ডা. মীর জামাল উদ্দিন এসে ডান হাতে শিরার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে এই সফল অপারেশন সম্পন্ন করেন। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কার্ডিওলোজী বিভাগের উদ্যেগে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে এক সাইন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ওই সেমিনারে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এনজিওগ্রাফি, এনজিওগ্রাম, এনজিওপ¬াস্টি, স্টেনটিং ও বাইপাস সার্জারি সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সূত্র মতে, বরিশালের কাশিপুরের হারুন হাওলাদার, মুলাদী উপজেলার ষোলঘর গ্রামের রেজাউল, মাদারীপুরের কালকিনির মকবুল হোসেন ও মঠবাড়ীয়া উত্তর মিঠাখালী গ্রামের হানিফ মোল¬া হৃদ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অর্থ এবং মানসিক সাহসের অভাবে তারা হৃদ রোগের চিকিৎসা করেনি। এই অবস্থায় তারা গত সপ্তাহে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলোজী বিভাগে ভর্তি হন। বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন তাদের চিকিৎসার জন্য তার সহপাঠী ও বন্ধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রফেসর ডাঃ মীর জামাল উদ্দিনকে আমন্ত্রন করেন। ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন’র ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালে আসেন প্রফেসর ডাঃ মীর জামাল উদ্দিন। তিনি ওই দিন সকালে ভর্তি হওয়া চার রোগীর মধ্যে হারুন হাওলাদার, রেজাউল করিম ও মোঃ মকবুল হোসেন’র ডান হাতের শিরার মাধ্যমে করোনারী এনজিওগ্রাফী ও হানিফ মোল¬া’র এনজিও প¬াষ্টি ও স্টেনটিং করেন। ২০১৬ সালে রাশিয়ায় উক্ত পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। এরপর ভারত এবং একই সময় বাংলাদেশে অত্যাধুনিক এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বরিশালে এই অপারেশন কার্যক্রম চলাকালীন সময় হাসপাতালের ক্যাথল্যাবে প্রফেসর ডাঃ মীর জামাল উদ্দিন’র সাথে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন, ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবির, ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ এম সালেহ উদ্দীনসহ সংশি¬ষ্ট বিভাগের চিকিৎসক, নার্স এবং টেকনিশিয়ানরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসনে। অপারেশনের পর মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে রোগীরা পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুক্রবার থেকেই তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এই বিষয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: মো: জাকির হোসেন বলেন, হৃদ রোগ আমাদের দেশে একটি জাতীয় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাই হৃদ রোগ এড়াতে আগে ভাগেই মানুষকে সচেতন হতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা ব্যায়ের দিকে না তাকিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করা প্রয়োজন। এর আগে এই রোগ প্রতিরোধই অতিউত্তম। তিনি বলেন, হৃদ রোগ প্রতিরোধ করতে হলে একটি নির্দিষ্ট সময় হাঁটা বা ব্যায়াম করতে হবে, প্রচুর পরিমানে ফলমুুুল, শাকসবজি, তরকারি খেতে হবে, লবণ ও চিনি কম খেতে হবে, বেশি ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করতে হবে, মদ্যপান, জর্দা, তামাক ও ধূমপান ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার অপারেশন কার্যক্রম শেষে মেডিকেল কলেজের ১নং গ্যালারীতে কার্ডিওলোজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন’র সভাপতিত্বে এক সাইন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT