লালমোহনে সহকারী শিক্ষকের অডিও ফাঁস লালমোহনে সহকারী শিক্ষকের অডিও ফাঁস - ajkerparibartan.com
লালমোহনে সহকারী শিক্ষকের অডিও ফাঁস

2:22 pm , December 28, 2019

ডিপিইও অফিসের স্ব-ঘোষিত ‘স¤্রাট’ শাজাহান
লালমোহন প্রতিবেদক ॥ তিনি ডিপিইও অফিসের ‘স¤্রাট’। সবাই তাকে স¤্রাট মানে। এমন কোন কাজ নেই যা তিনি করতে পারেন না। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তিনি বদলী করে এনেছেন। শিক্ষা অফিসার তার কথায় চলে। আর তাই লালমোহনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গ্রেডেশন ও পদন্নোতির জন্য ৪৭ জন শিক্ষক থেকে নিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরী স্থায়ীকরণের জন্য ৮৭ জন শিক্ষকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা নিয়েছেন। এসব টাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের জন্য নিয়েছেন তিনি। এধরণের আত্মস্মীকৃতি মোবাইল ফোনে এক সহকারী শিক্ষিকার সাথে স্বীকার করেছেন একজন সহকারী শিক্ষক। তার নাম মো: শাজাহান। তিনি লালমোহন উপজেলার ‘দক্ষিণ লালমোহন হাজী এ মোতালেব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। লালমোহন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আয়ুব আলীর ডান হাত। শিক্ষা অফিসারের সকল কাজের কাজী এ শাজাহান। শিক্ষা অফিসের দালাল সিন্ডিকেটের প্রধান শাজাহান নিজেকে স্ব ঘোষিত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ‘সম্্রাট’ বলেছেন ওই অডিওতে। জেলা শিক্ষা অফিসের সবাই তাকে প্রধান্য দিয়ে ‘স¤্রাট’ ডাকে। ডিজি অফিসে গিয়ে কার ক্ষতি করতে হবে সবই তিনি জানেন। গত মাসে দুজনকে বদলীও করিয়েছেন তিনি। এই শাজাহান ইতোপূর্বে ফুলবাগিচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা কালে নারী কেলেংকারীর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তাকে ওই স্কুল থেকে নাজিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়। সেখান থেকে এখন দক্ষিণ লালমোহন হাজী এ মোতালেব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
শাজাহান মোবাইল ফোনে এক সহকারী শিক্ষিকার সাথে কথা বলেন। ওই শিক্ষিকার চাকরী স্থায়ীকরণের জন্য তার কাছেও ৪ হাজার টাকা চান শাজাহান। অডিওতে তিনি বলেন, লালমোহন শিক্ষা অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। শিক্ষা অফিসার তার বাসায় যান, দাওয়াত খান। তিনি শিক্ষা অফিসারের বাসায় থাকেন এসব কোন ঘটনাই না। নিজে বিএনপি করেও আওয়ামী লীগের সময় কিভাবে কাজ করেন এ প্রসঙ্গে অডিওতে নিজেকে কৌশুলী হিসেবে দাবী করেন।
এ প্রসঙ্গে শাজাহানের কাছে জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে তিনি ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আয়ুব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার এ ধরণের কথা ভিত্তিহীন। উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। সে একটা বেয়াদপ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, এই ধরণের অডিও থেকে থাকলে আমার কাছে পাঠালে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT