ভাটার খাল খাদ্য গুদাম থেকে ৩০ বস্তা চাল পাচার ভাটার খাল খাদ্য গুদাম থেকে ৩০ বস্তা চাল পাচার - ajkerparibartan.com
ভাটার খাল খাদ্য গুদাম থেকে ৩০ বস্তা চাল পাচার

6:35 pm , May 7, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ভাটার খাল খাদ্য গুদাম থেকে চোখের পলকেই পাচার হয়ে গেছে প্রায় দেড় টন সরকারি বরাদ্দের চাল। এলএসডি গোডাউন থেকে ঘাট সর্দার আলমগীর সিকদারের ভাড়া বাসায় রাখা প্রায় ৩০ বস্তা চাল সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে অন্যত্র। তবে ওই চাল এর মালিক এবং বৈধতা সম্পর্কে কোন সদুত্তর কিংবা কাগজ দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। পরে অবশ্য বিষয়টিতে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ হস্তক্ষেপ করেন। কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপ টের পেয়ে পালিয়ে যায় চালের জিম্মাদার ওএমএস’র একজন ডিলার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর ভাটারখাল এলএসডি গোডাউন থেকে প্রায় ত্রিশ বস্তা চাল গোপনে সরিয়ে নেয় শ্রমিকরা। সরকারি সিল-মোহর ও খাদ্য অধিদপ্তরের সম্পদ লেখা প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল ছিলো। পরবর্তীতে ওই চালের বস্তাগুলো এলএসডি ঘাটের সর্দার আলমগীর এর মালিকানাধিন ভাটারখাল মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন একটি ঘরের মধ্যে রাখা হয়। খবর পেয়ে পরিবর্তনের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ওই ঘরে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান এবং লুকিয়ে রাখা চালের বস্তার ছবি ধারন করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে মুহুর্তের মধ্যে একটি মিনি ট্রাকে করে সন্ধ্যার দিকে ওই ঘর থেকে চাল ভর্তি বস্তাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রথমত চালগুলো বাজার রোডে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু পথিমধ্যে সাংবাদিকদের উপস্থিতিটি টের পেয়ে তা নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর ত্রিশ গোডাউন এলাকাধিন এপিবিএন কার্যালয়ের সামনে বিসমিল্লাহ স্টোর্স এন্ড মুদী নামক দোকানে। সেখানেই চালগুলো মজুত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চাল বহনকারী মিনি ট্রাকটি। খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সরজিৎ এর নেতৃত্বাধিন টিম ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তার আগেই চাল মজুত রাখা দোকানের মালিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ওদিকে ভাটারখাল এলাকায় চালের ছবি তুলতে গেলে এলএসডি ঘাটের লেবার সর্দার আলমগীর সিকদারের আত্মিয় পরিচয় দেয়া এক নারী বলেন, “এগুলো কোন চোরাই চাল নয়, এগুলো লেবারদের চাল”। পরবর্তীতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় আলমগীর সিকদার এর সাথে। এসময় তিনি বলেন, ওই চালের মালিক আমি,। ওগুলো জিআর’র চাল। পরে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অপরদিকে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় সরকারি ওই চালের জিম্মাদার ওএমএস এর ডিলার হাবিব এর ছেলে সাগর বলেন, আমি একজন ওএমএস’র ডিলার। আমি এক টন চাল পাবো। সেই একটন চালই আমার দোকানে পাঠিয়ে দিয়েছে খাদ্য গুদাম থেকে। ওই চালের বৈধ চালনপত্রও রয়েছে বলে দাবী করে সাগর। অবশ্য এর কিছু সময়ের মধ্যেই থানা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সাগর সহ তাদের সহযোগিরা।
এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সরজিৎ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া যে দোকানের মধ্যে চালগুলো মজুত রাখা হয়েছে সে দোকানটিও তালাবদ্ধ ছিলো। পরে অবশ্য দোকানে থাকা ২০ বস্তা চালের চালান আমাকে দেখিয়েছি সংশ্লিষ্ট ডিলার। সেখানে ১০ বস্তা আটাও ছিলো। দুটি পন্যদ্রব্যের চালানই আমি নিয়ে এসেছি। যেহেতু আমাকে চালান দেখিয়েছে সেহেতু ওই মালের বৈধতা রয়েছে। তাছাড়া কোন ঘর থেকে নয়, বরং গোডাউন থেকেই সরাসরি ওই মাল ডিলারের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ডিলার জানিয়েছে বলে এসআই সরজিৎ জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি’র প্রতি নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT