মহিপুরে চাচীকে নির্যাতন ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ মহিপুরে চাচীকে নির্যাতন ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ - ajkerparibartan.com
মহিপুরে চাচীকে নির্যাতন ও বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ

3:14 pm , December 2, 2018

আনোয়ার হোসেন আনু, কুয়াকাটা ॥ মৎস্যবন্দর মহিপুরে চাচার মৃত্যুতে ভাতিজা কর্তৃক চাচীকে নির্যাতন করার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ভাতিজা কর্তৃক জাল জালিয়াতি দলিল সৃষ্টি করে বসত বাড়ি থেকে উৎখাতসহ গ্রাম ছাড়ার হুমকিতে চাচী মর্জিনা বেগম এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে এর প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে মর্জিনা বেগম কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আশ্রয় নেয়। যাহার মামলা নং-১৩৯/১৮। মামলাটি বর্তমানে মহিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এর তদান্তাধীন রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মৎস্যবন্দর মহিপুর থানা সদর গ্রামের মোঃ চান গাজীর পুত্র জাহাঙ্গীর তার আপন চাচা মোঃ তারা গাজীর মৃত্যুর পর চাচার ঘরেই বসবাস করে। মৃত্যু তারা গাজীর পুত্র মিলন মা মর্জিনা বেগম এবং চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে তাদের ঘরে রেখে রোজগারের জন্য দেশ ছেড়ে দুবাই গমন করে। এ সুযোগে তারা গাজীর ভাতিজা জাহাঙ্গীর ঘরবাড়ি দখল ও জাল-জালিয়াতি দলিল সৃষ্টি করে চাচী মর্জিনা বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়াসহ নানাবিধ হয়রানী অব্যহত রেখেছে বলে মামলার এজাহারে উল্ল্যেখ করা হয়।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২৬ নং জে এল শিববাড়িয়া মৌজার এস এ ৮১ নং খতিয়ানের ৩০৮৬ নং দাগসহ ১০টি দাগে ৭.৫৮ একর মোট ভূমি। উক্ত জমি হইতে ০.০৭ শতাংশ জমি ওয়ারীশ সূত্রে মালিক তারা গাজীর পুত্র মিলন গাজী। যা বর্তমানে দিয়ারা জরিপ বি এস খতিয়ান নং ২৯১৭, ডি,পি ৭৭৬ নং , ৪৯৩১ নং দাগে ০.১৪ একর জমি সমহারে চান গাজী ও মিলন গাজীর নামে। মিলন গাজীর অংশ ০.০৭ একর জমি জোর-জবর ভোগ করতে চায় মিলনের চাচা চান গাজী ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর।
নির্যাতিত মর্জিনা বেগম গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে মহিপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ভাতিজা জাহাঙ্গীর তাকে তার বসত বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। বেপরোয়া আচরন করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। জাহাঙ্গীর একজন দস্যু প্রকৃতির লোক এবং ঘাতক।
মর্জিনা বেগম আরো জানান, ২০১৩ইং সালের ১৫ই মার্চ জাহাঙ্গীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় পনু গাজীকে দুপুর আড়াইটার সময় প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যাা করে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যাহার মামলা নং- জি আর ৬৭/১৩। ঘাতক জাহাঙ্গীর শুধু হত্যাকারীই নয়, বরং জাল-জালীয়াতি চক্রের প্রধান।
মর্জিনা বেগমের শাশুরী মোসাঃ সোনাবরু বিবির শিব বাড়িয়া মৌজায় ৮১ নং খতিয়ানের ২৭ শতাংশ জমি জাল-জালিয়াতি করে ৪৬৪১/৯০ নম্বর দলিল সৃষ্টি করে। যাহা অত্র কলাপাড়া সাব রেজিঃ এবং পটুয়াখালী নকলখানায় পাওয়া যায়নি। ওই নম্বরের যে দলিল পাওয়া গেছে, সেখানে জমি দাতা-ছাদেম আলী খন্দকার,গৃহীতা-মোঃ নিজাম উদ্দিন প্যাদা, পিতাঃ-মৃত্যু চান মিয়া, ১/২ নং জে এল গামরী বুনিয়া মৌজা। এছাড়াও জাহাঙ্গীর ৩০৪০ নং সরকারী খাস জমি দখল করে পাকা স্থাপনা ণির্মান করতে থাকলে, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থাপনা ণির্মান স্থাগিত করে দেন।
ঘাতক জাহাঙ্গীরের সৃষ্টিকৃত দলিল পর্যালোচনা করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীসহ নিজের জমি ফিরে পেতে চায় অসহায় মর্জিনা বেগম।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর চাচীকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন,জমি ও বাড়িঘর নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালতেই প্রমাণ হবে জমির দলিল জাল জালিয়াতি করে সৃষ্টি করা হয়েছে কিনা।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুল ইসলাম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্তে জমি ও ভিটে মাটি কার তা বেড়িয়ে আসবে এবং অসহায় মর্জিনা বেগম সঠিক বিচার পাবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT