সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বরিশাল সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বরিশাল সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা - ajkerparibartan.com
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বরিশাল সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

3:12 pm , November 22, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বরিশালের শেখ হাসিনা সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৭ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ মাঈন উল্লাহ চৌধুরী দেশের উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন। বুধবার বিকেলে মহানগরী থেকে ২৬ কিলোমিটার দুরে পায়রা নদীর তীরে শেখ হাসিনা সোনাবিসাসে এ মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জিওসি এবং বরিশালের এরিয়া কমান্ডার দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কঠোর আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন। জিওসি তার ভাষনের শুরুতেই জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। মেজর জেনারেল মোঃ মাঈন উল্লাহ চৌধুরী-এডব্লিউসি, পিএসসি মহান মূক্তিযুদ্ধে শহিদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মত্যাগের কথাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এ অনুষ্ঠানে এরিয়া কমান্ডার বরিশাল বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলা সহ আর্ত মানবতার সেবার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাশ দমন সহ জঙ্গী দমন ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছে। তিনি বলেন বিভিন্ন জাতী গঠনমূলক কর্মকান্ড সহ জাতীসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।
৭ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ মাঈন উল্লাহ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারন ও যুগোপযোগী করার লক্ষে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে শক্তিশালী করা হচ্ছে। পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে গুনগত ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে বর্তমান সরকার সব সময়ই আন্তরিক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কার্যক্রম সামরিক বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকেই অনুপ্রাণিত ও আশ্বস্ত করছে।
৭ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বরিশালের এরিয়া কমান্ডার মহান স্বাধিনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বার বারই স্মরন করে বলেন, ১৯৭১সাল বঙ্গবন্ধুর আহবানে এদেশের সাধারন মানুষের সাথে সামরিক বাহিনীও মূক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। ১৯৭১-এর ২১নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথভাবে সাড়াশি অভিযান শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১-এর ১৬ডিসেম্বর আমরা মহান বিজয় অর্জন করি।
গতকাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসে মনমুগ্ধকর এ সংবর্ধনা অনষ্ঠানে ৬২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ক্রেষ্ট সহ উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। ভাষনের পরে অতিথিবৃন্দকে নিয়ে জিওসি কেক কেটে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রহুল আমীন হালাদার-এপি, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, মোঃ টিপু সুলতান-এমপি ও বেগম ইসরাত জাহান রত্মা আমীন-এমপি ছাড়াও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সহ উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাগন যোগদান করেন। বরিশাল সেনসানিবাসের বিভিন্ন বিগ্রেডের ব্রিগেড কমান্ডারগন সহ অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাগন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জিওসি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকল মূক্তিযোদ্ধা ছাড়াও শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দকেও ধণ্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT