উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপাবলী উৎসব ৬ নভেম্বর উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপাবলী উৎসব ৬ নভেম্বর - ajkerparibartan.com
উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপাবলী উৎসব ৬ নভেম্বর

10:22 am , November 4, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রয়াত স্বজনদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও শান্তি কামনার উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের মতো নগরীর কাউনিয়া মহাশশ্মানে এবারো অনুষ্ঠিত হবে দুইদিন ব্যাপী “শ্মশান দিপাবলী” উৎসব। আগামী ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এ উৎসব। চলবে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। ৫ নভেম্বর সোমবার রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে ভূত চতুর্দ্দশী পূন্য তিথিতে পূঁজার লগ্ন শুরু হবে। থাকবে ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এই সময়ে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী দিপালী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে মহাশ্মশানে। এরপর রাত ১২টা ১ মিনিটে শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মাতার পূজা অনুষ্ঠিত হবে মহাশ্মশান প্রাঙ্গনে। তখন শ্মশানে প্রয়াতের সমাধির সামনে তার প্রতিকৃতি (ছবি) রেখে প্রদীপ প্রজ্জলন করে প্রয়াতের পছন্দের খাবার সমূহ সমাধির কাছে রেখে ধুপধুনা ও আগরবাতি জ্বালিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে স্মরণ করেন প্রিয়জনদের। নাম কীর্তন এবং গীতাপাঠ করে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করবে স্বজনরা। প্রায় দেড় শ’ বছর ধরে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে অনুষ্ঠিত ‘শ্মশান দিপাবলী’ উৎসব ভারত উপমহাদেশের সর্ব বৃহৎ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।

শুধু বরিশাল এবং সারা দেশ থেকেই নয়, ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু স্বজন এই দিনে ছুটে আসেন প্রয়াত প্রিয়জনের সমাধির কাছে।

মহাশ্মশান রক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার জানান, ইতিমধ্যে স্বজন বিহীন ৮৫০ সমাধি মহাশ্মশান রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে রঙ করা হয়েছে। এছাড়া এখন নতুন করে সমাধি সংস্কার এবং ধোয়া মোছার কাজ করছেন স্ব স্ব স্বজনরা। বরিশালের ঐতিহ্যবাহী মহাশ্মশানে ২০০২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় ২৭০০ মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে। যাদের সকলেরই সমাধি এই শ্মশানে স্থাপন করা হয়েছে। তিনি জানান, উৎসব উপলক্ষ্যে ৭ একর ৪১ শতাংশ আয়তনের এই মহাশ্মশানে করা হবে বাহারী আলোকসজ্জা। যার কাজও এখন চলছে তড়িৎ গতিতে। প্রতি বছর ভূত চতুর্দশী পূণ্য তিথিতে এ উৎসব হয়ে থাকে। প্রিয়জনের সমাধিতে দীপ জ্বালিয়ে দেওয়ার সেই প্রথা উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে হয়ে আসছে। সে কারণে কাউনিয়া মহাশ্মশানের এই দিপালী উৎসবের প্রথা শত বছর ধরে চলছে বলা যায়। প্রতি বছর এই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মহাশ্মশানে দীপ জ্বালিয়ে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন। সেসময় পুরো মহাশ্মশান আলোকজ্জ্বল হয়ে ওঠে মোমবাতি এবং প্রদীপের আলোয়।

সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই মহাশ্মশানে প্রায় লক্ষাধিক সমাধি স্থাপন করা রয়েছে। যাতে শ্রদ্ধা জানাতে নেপাল এবং ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে এই শ্মশানে। এখানে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্বসহ সমাজসেবীদের সমাধি রয়েছে। সমাধিগুলোতে মহাশ্মশানের তত্ত্বাবধানে দীপ প্রজ্বলন করা হয় উৎসবের দিন। এছাড়াও সমাধিগুলোতে তাদের স্বজনরা মোমবাতি, প্রদীপ প্রজ্বলন করবে এবং মৃত ব্যক্তিরা যা খেতে ভালোবাসতেন তা দিয়ে পূজা করা হবে শ্মশানে। দিপালী উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে জোরদার অবস্থানে থাকবে পুলিশ ও র‌্যাব।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT