শেবাচিম হাসপাতালে ১২০ শ্রমিকের চার মাসের মজুরী আত্মসাত শেবাচিম হাসপাতালে ১২০ শ্রমিকের চার মাসের মজুরী আত্মসাত - ajkerparibartan.com
শেবাচিম হাসপাতালে ১২০ শ্রমিকের চার মাসের মজুরী আত্মসাত

6:34 pm , April 24, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক ১২০ জন শ্রমিকের চার মাসের অর্থ আত্মসাত করেছে ঠিকাদার। প্রতি মাসেই বরাদ্দের অর্থ তুলে নিলেও ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ওই শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করেনি ক্লিনকো নামক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। সে অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরীর প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে জনবল সরবরাহের কার্যাদেশ পান প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা বাঘা সোহেল। ক্লিংকো নামক প্রতিষ্ঠানের নামে ১২০ জন জনবল সরবরাহের জন্য প্রতিজন ক্লিনারকে ৫ হাজার ৫০০ শত টাকা মজুরীর চুক্তিতে কার্যাদেশ পেয়েছিলেন বাঘা সোহেল। কিন্তু শুরু থেকেই অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে মেতে ওঠে ঠিকাদার। ১২০ জনের বিপরিতে সর্বোচ্চ ৭০ জন এবং ৫ হাজার ৫০০ টাকার বিপরিতে ২২শত থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরী প্রদান করে ক্লিনারদের। প্রতি মাসেই বাকি টাকা চলে যায় তার পকেটে।
এদিকে হাসপাতালে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক ক্লিনার জানান, হাসপাতালে নতুন লোক নিয়োগ হওয়ায় চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ১ এপ্রিল থেকে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু তার পূর্বে অথাৎ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই কর্মরত কোন ক্লিনারকেই মাসিক মজুরী পরিশোধ করেনি। আজ না কাল করে চার মাসে এসে পৌছেছে বকেয়ার পরিমান। এমনকি চুক্তি বাতিল করার পর থেকে ঠিকাদার কিংবা তার কোন লোকেদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালে। ফলে চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের বিপরিতে কাজ করা শ্রমিকরা বঞ্ছিত হয়েছেন তাদের ন্যায্য পাওয়া থেকে। আদৌ পাওনা পরিশোধ হবে কিনা তা জানা নেই সংশ্লিষ্টদের।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন ভিন্নটা। তারা বলেন, ১ এপ্রিল চুক্তি বাতিল করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন বিল বাকি নেই। এপ্রিল পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ১২০ জনের বিপরিতে ৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। চার মাসের প্রতি মাসেই প্রতিষ্ঠানটিকে ভ্যাট-আয়কর বাদ দিয়ে ৬ লাখ ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা করে বিল দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে রাজস্ব খাতে নতুন লোক নিয়োগ দেয়ার পরেও ৭৯টি পদ শূণ্য রয়েছে। তাই ওই শূণ্য পদের বিপরিতে চুক্তিভিত্তিক জনবল সরবরাহের অনুমতি আনার চেষ্টা করছেন ঠিকাদার বাঘা সোহেল। এ কারনে তিনি পূর্বে বকেয়া ৪ মাসের মজুরী পরিশোধ করছে না। তবে আদৌ বকেয়া টাকা পরিশোধ করবেন কিনা সে বিষয়টি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল বাকির হোসেন বলেন, আমাদের সাথে ঠিকাদারের চুক্তি হয়েছে। ঠিকাদার জনবলের তালিকা দেখিয়ে বিল উত্তোলন করবে। লোক না দেখিয়ে উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। কেউ তা করে থাকলে সে বিষয়ে কোন তদন্ত হলে সে দায়ভার যিনি অর্থ ছাড় দিয়েছেন তাকে জবাবদিহিতা করতে হবে। আর ঠিকাদার বিল উত্তোলন করে তার শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ না করলে সেটা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT