টাকা উড়ছে নগরীতে টাকা উড়ছে নগরীতে - ajkerparibartan.com
টাকা উড়ছে নগরীতে

6:10 pm , July 27, 2018

সাঈদ পান্থ ॥ বরিশাল সিটি নির্বাচনে আকাশে বাতাসে উড়ছে টাকা। পাড়া মহল্লা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শোভা পাচ্ছে ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার। এছাড়া গণসংযোগে নেতাকর্মীদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে হাজার হাজার লিফলেট। পুরুষদের পাশাপাশি এখানে পিছিয়ে নেই নারীরাও। তাইতো প্রচারণায় তাদের প্রধান্য দেখা যাচ্ছে। তবে যে ভাবে টাকার বিনিময়ে প্রচারনা চালানো হচ্ছে তাতে প্রায় প্রত্যোক প্রার্থীর বাজেট ও নির্বাচনী ব্যয় অতিক্রম করছে। যা আচরণ বিধি লঙ্ঘণের শামিল। যদিও এসব প্রার্থীরা বলেছেন, তাদের অনুসারীরা নিজের মনে করে ব্যয় করছেন। কিন্তু তারপরও নিশ্চুপ রয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া মনিটরিং করার জন্য আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী রয়েছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সŸোর্চ্চ ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। একই ভাবে একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীও এক লাখ টাকা ও মেয়র প্রার্থী ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে করবে। এর বেশি হলে আচরণ বিধি লঙ্গিত হবে। যদিও এই আইন মানছেন না কোন প্রার্থীই। এক এক জন্য কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যয় ইতোমধ্যে ১০-১৫ লাখ টাকা অতিক্রম করেছেন। একই ভাবে কোন কোন মেয়র প্রার্থী কোটি টাকা অতিক্রম করছে। নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুজ্জামান সোনা বলেন, ‘আমি গরিব প্রার্থী। আমার ১ লাখ টাকা মধ্যেই ব্যয় রাখতে পারবো।

এ বিষয়ে বর্তমান কাউন্সিলর এ্যাড. মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, ‘আমি এক লাখ টাকার মধ্যেই নির্বাচনী ব্যয় শেষ করবো।

এদিকে নারীরাও নির্বাচনী মাঠে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবশ্য এদের মধ্যে অনেকেই নেই ভোটাধিকারের সুযোগ। আবার অনেকের ভাড়ায় এসে প্রচারণায় অংশ নিয়ে ৩ ঘন্টার জন্য পেয়ে যাচ্ছে ২৫০ টাকা পারিশ্রমিক। যার কারণে নগরীতে হাজার হাজার নারীরা নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অংশ নিচ্ছেন। এই নারীদের মধ্যে রয়েছে গৃহীন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাও। যদিও এদের মধ্যে অধিকাংশই এ নগরীর ভোটার নন। তবু অর্থের লোভে যে কোন কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নামছেন তারা। ভোটারদের ভাগাতে টাকা ছিটাচ্ছেন প্রার্থীরা।

শুধু নারীদের পিছনেই টাকা ব্যয় হচ্ছে না। পুরুষ কর্মীদের পিছনেও ব্যয় হচ্ছে টাকা। পাশাপাশি রয়েছে মাইকিং, পোস্টার, লিফলেটসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমতো রয়েছেই। একই ভাবে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরাও ব্যয় করছে টাকা।

নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেছেন, আমার প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম নির্বাচনী মাঠে টাকা উড়াচ্ছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার প্রতি এক হাজার আবার দুই জাহার টাকাও দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া প্রচার প্রচারনায়ও লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। যা নির্বাচনী ব্যয় অতিক্রম করবে। তবে এ বিষয়ে নুরুল ইসলামের সাথে বার বার মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, নগরীর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাই তাদের নির্বাচনী ব্যয় অতিক্রম করবে। নির্বাচন কমিশন ১ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করলেও তারা নামে বে নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয় করছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং জরুরী। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে সবাই নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কেন নিশ্চুপ বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মো: হেলাল উদ্দিন খান বলেন, নির্বাচনী ব্যায়ের বেশী কেউ খরচ করতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রার্থীরা র‌্যায়ের রির্টান দাখিল করতে হয়। পাশাপাশি এর ভাউচারও দিতে হয়। আমাদের গোয়োন্দা বাহিনীও মাঠে রয়েছে। কারো বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ব্যায়ের প্রমান পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT