১৫নং ওয়ার্ডে অপ্রতিদ্বন্দ্বি সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল ১৫নং ওয়ার্ডে অপ্রতিদ্বন্দ্বি সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল - ajkerparibartan.com
১৫নং ওয়ার্ডে অপ্রতিদ্বন্দ্বি সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল

6:49 pm , June 12, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল। ১৯৯৫ সাল থেকে গত ২৩ বছর ওয়ার্ডটিতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করছেন। যার কারণে দল-মত নির্বিশেষে প্রতিবারই সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালকেই কাউন্সিলর হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ভোটাররা। এমনকি জনগনের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থেকেই আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৫নং ওয়ার্ডে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন তিনি। এবারের নির্বাচনেও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ের আকাঙ্খা নিয়ে ভোট যুদ্ধে সামিল হচ্ছেন কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল।

সরেজমিনে জানাগেছে, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল বরিশাল পৌরসভার আমলে সর্বপ্রথম কমিশনার নির্বাচিত হন। সেই থেকেই মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন তিনি। এর মাধ্যমেই ওয়ার্ডবাসীর কাছে নিজের অবস্থান তৈরী করে নেয়া জাকির হোসেন জেলাল ওয়ার্ডটিতে একজন শক্ত সামর্থ অপ্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। যার প্রমাণ প্রতি নির্বাচনেই ওয়ার্ডবাসী দিয়ে এসেছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ঘোষনার পরে ২০০৩ সালে প্রথম পরিষদের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন জেলাল। এর পর ২০০৮ এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করেন তিনি।

২০১৩ সালের নির্বাচনে তার বিপক্ষে ছিলেন দু’জন প্রার্থী। তখন ওয়ার্ডের সাড়ে ৭ হাজার ভোটের মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে প্রথম হন জেলাল। ওই নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া তুহিন নামের এক প্রার্থী মাত্র ৭১ ভোট পেয়ে জামানত হারান। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বি মাহমুদ আলম চঞ্চল পান প্রায় এক হাজারের মত ভোট। এবারের নির্বাচনেও সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল বিজয়ের হাসি হাসবেন বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটাররা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ১৫নং ওয়ার্ডে এ যাবৎকালে যত উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহভাগ উঠে এসেছে সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল এর প্রচেষ্টায়। ওয়ার্ডের এমন কোন গলি বা রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি যা দিয়ে মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। ওয়ার্ডের অলি-গলি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি সড়ক পাকা রাস্তায় পরিনত করা হয়েছে। নবগ্রাম রোডে চৌমাথা পর্যন্ত দীর্ঘ মাষ্টার ড্রেন নির্মান, আমির কুটির হরিজন কলোনীতে ৬ তলা ভবন নির্মান সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল’র পরিকল্পনা মতই হচ্ছে। ওয়ার্ডবাসী যথাযথ ভাবেই পেয়েছেন নাগরিক সেবা। ওয়ার্ডে এ যাবত ৭০ জন নারী পেয়েছেন মাতৃত্বকালিন ভাতা, ৩৭৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পাচ্ছেন বয়স্ক ভাতা এবং ১৫ জনের মত প্রতিবন্ধিরা ভাতা ভোগ করছেন। যার পেছনে অবদান সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালের।

শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডটিতে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ছাড়াও ২০টি টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। যে প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে ওয়ার্ডের ৯৫ ভাগ মানুষের জন্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর। ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে আলোকিত ওয়ার্ড হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে ১৫নং ওয়ার্ডটি। কেননা ওয়ার্ডের এমন কোন গলি কিংবা সড়ক নেই যেখানে আলো জ্বলেনি। বাল্য বিয়ে কিংবা মাদকের স্থান পাচ্ছেনা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে। তার ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যেভাবে এগিয়ে চলছে তাতে নগরীর মধ্যে একটি ব্যতিক্রম ওয়ার্ডে পরিনত হতে পারে ১৫নং ওয়ার্ডটি।

আলাপকালে ১৫নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলার বলেন, আমি আমার জন্য নয়, বরং ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়ন এবং জনকল্যানের জন্য নির্বাচন করে থাকি। জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার কারনেই ওয়ার্ডটি উন্নয়ন দিয়ে ঢেলে সাজাতে পেরেছি। এজন্য অবশ্য ওয়ার্ডবাসীর সহযোগিতা রয়েছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব হতো না।

সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল বলেন, আমার ওয়ার্ডের মধ্যে বর্তমানে দুটি সমস্যা চলমান রয়েছে। যা সমাধানের জন্য বহুবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু সেভাবে সহযোগিতা না পাওয়ায় সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। ওয়ার্ডের মধ্যে হাতেম আলী কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে বিশাল ময়লার ভাগার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনটি ওয়ার্ড থেকে সংগ্রহিত ময়লা-আবর্জনা ওই স্থানে ফেলা হচ্ছে। যে কারনে ময়লার দুর্গন্ধ সহ্য করতে হচ্ছে পথচারী থেকে শুরু করে ওয়ার্ডবাসীর। তার পরেও দুটি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন ওই ময়লা পরিস্কার করা হচ্ছে। ওয়ার্ড থেকে ময়লার ভাগারটি স্থায়ী ভাবে সরিয়ে ফেলতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলেন তিনি।

তাছাড়া অপর সমস্যাটি হলো সড়কে জলাবদ্ধতা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বর্ষায় হাটুসমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারন উল্লেখ্য করে সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল বলেন, ওয়ার্ডটিতে যারা ইমরাত নির্মান করছে তারা যত্রযত্র নির্মান সামগ্রী রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখছে। ওইসব নির্মান সামগ্রী বর্ষার পানিতে ধুয়ে ড্রেনে আটকা পড়ছে। যে কারনে পানি নিস্কাশনে সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে বিসিসিতে বহুবার ধর্না দিয়েছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল সরবরাহ না করায় ওই সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়নি। তবে এই সমস্যাও সমাধানে জোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। সে জন্য জনগনের সহযোগিতা চান সৈয়দ জাকির হোসেন জেলা। এছাড়াও বহু উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে ওয়ার্ডটিতে। রয়েছে অনেক পরিকল্পনা। মোট কথা ১৫নং ওয়ার্ডটিতে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা বর্তমান কাউন্সিলরের। যে কারনে আরো একবার সুযোগের প্রয়োজন। উন্নয়নের স্বার্থে হলেও ওয়ার্ডবাসী তাদের মুল্যবান রায় তাকেই দিবে বলে আশা ব্যক্ত করেন সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT