জমজমাট হয়ে উঠেছে নগরীর পোশাক বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে নগরীর পোশাক বাজার - ajkerparibartan.com
জমজমাট হয়ে উঠেছে নগরীর পোশাক বাজার

6:07 pm , June 4, 2018

জুবায়ের হোসেন ॥ ঈদ নিকটে আসায় জমজমাট হয়ে উঠেছে নগরীর পোশাক বাজার। থান কাপর বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে তৈরি পোশাক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ঈদ বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু তারাই নয়, ঈদ ব্যস্ততায় ১৫ রোজার পর থেকেই পরিচ্ছদ সংক্রান্ত সকল বিপনিরা ব্যস্ত হয়ে পরেছেন বলে জানিয়েছেন। প্রতিদিন বেলা গড়াবার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীরে মুখরিত থাকছে নগরীর চকবাজার, কাটপট্টি, গির্জা মহল্লা, মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে ক্রেতাদের বারতে থাকা ভীরে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন তারা। একই সাথে ঈদ কেনাকাটার তথ্য সংগ্রহ কালে তারা জানিয়েছেন এবার ঈদে ক্রেতার ধরন, চাহিদা, দাম সহ নান তথ্য। অন্যদিকে প্রতিবারের ন্যায় বেশি দামের অভিযোগের সাথে ক্রেতারা জানেিয়ছেন নানা সুযোগ সুবিধার কথা।

ঈদের কেনাকাটার তথ্য সংগ্রহে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, কাটপট্টি, গির্জা মহল্লা, মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেনীর ক্রেতাদের লক্ষনীয় ভীর জমছে শুরু করেছে ইতি মধ্যেই। রমজানের শুরুর দিকে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও বর্তমানে এই ভিরের বেশিরভাগই প্রকৃত ক্রেতা বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। প্রতিবারের ন্যায় নারী ক্রেতার সংখ্যা ও তাদের রকমারি পোষাকের বাহারেই জমকালো হয়ে ইঠেছে ঈদের বাজার বলেও জানিয়েছেন তারা। আবহাওয়া ওপরে ভিত্তি করে এবার পোষাকে রয়েছে বেশ কিছু নতুন পরিবর্তনের ছোয়া। বেশি দামের অভিযোগ মাথা পেতে সিকার করে বিক্রেতারা বলেছেন ঢাকা থেকে তাদেরকেই চড়া মুল্যে পোশাক কিনে এনে বিক্রি করতে হয়। তাই দাম একটু বেশি। নগরীর বগুরা রোড এলাকার তৈরি পোশাক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান এর সত্বাধিকারী তানভীর হাসান অনিক এর সাথে আলাপ কালে তিনি জনান, এবার ঈদে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে শর্টশ্লীভ ও স্লিভলেস সালোয়ার কামিজ এবং ফুল স্লিভের লং কামিজ। এসব পোশাকে হাতের কাজের পাশাপাশি চুমকি, স্টোন, সুতো, হালকা ব্লক, ওভার অল কাজ, গলায় এবং হাতায় কাজ, ওড়নায় কাজ, কলকিতে কাজ, ওড়নায় অল ওভার কাজ, ব্লক ওড়না, হাতায় কুচি, পাইপিনের কাজ, অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারি পুঁতির কাজ ইত্যাদি। কাটিংয়ের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন সহজেই চোখে পড়ে। গোল গলা, ভি গলা এবং সেরোয়ানি গলার কামিজ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। লাল, কালো, কমলা, হলুদ, জাম গোলাপি, সবুজ, অরেঞ্জ রেড, গোল্ডেন, অরেঞ্জ পিঙ্ক, বাদামি, পিঙ্ক রঙের সালোয়ার কামিজ ও ফতুয়া মেয়েদের সেরা পছন্দ। কামিজের গলা এবং হাতের পাইপিনের সঙ্গে ম্যাচ করে সালোয়ার করা হয়েছে। ওড়নাতে কামিজের সঙ্গে ম্যাচ করে প্্িরন্ট করা হয়েছে। অ্যান্ডি সিল্ক এবং জয় সিল্কের নরমাল ও এক্সক্লুসিভ শর্ট কামিজের চাহিদা বেশি। শর্ট কামিজে ঘটি হাতা ও ম্যাগি হাতা মেয়েদের চাহিদার তুঙ্গে রয়েছে। এবার ঈদে মেয়েদের ট্রেন্ড সেমি লং কামিজের দিকে। এখনকার তরুণীরা আবহাওয়া, সময় ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশিরভাগ পোশাক পছন্দ করছে। এবার ঈদে আবহাওয়া বেশ উষ্ণ থাকবে। তাই একেবারে আঁটসাঁট নয়। একটু ঢিলেঢালা পোশাকের প্রতি আগ্রহ থাকবে তরুণ-তরুণীদের। গেলবার লেয়ার কাট বেশ দাপট দেখিয়েছে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হয়। একেকটি পোশাকে অনেক ধরনের লেয়ার কাট থাকবে। ওড়নার বৈচিত্রময় ব্যবহার দেখা যাবে। শাড়ি নিয়ে নতুনভাবে ভাবছেন ডিজাইনাররা। সেই ভাবনার প্রতিফলন দেখা যেতে পারে। ছেলেদের স্লিমফিটও না আবার একেবারে ঢিলেঢালাও না, মাঝামাঝি অবস্থানে থাকবে পাঞ্জাবি। ফ্যাব্্িরকের মধ্যে কটনের পাশাপাশি কাতান, সিল্ক, হাফ সিল্কএসব বেশ চলবে।

এসব পোশাক বাজার দখল করে রাখলেও আমাদের নগরীর বাজারে এই পোষাকের দাম তুলনা মুলক বেশি। তার পরেও ঈদ এগিয়ে আসায় এমন পোশাক গুলো কিনতে প্রতিদিন ক্রেতাদের ভীর বাড়ছে। এই ভীর আগামি ২৫ রমজানের মধ্যে চুরান্ত আকারে বারবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

ঈদ বাজারে আসা এক নারী ক্রেতার সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, এবারের ঈদের বাজারের পোষাকের দাম আগের বারের তুলনায় অনেক বেশি। তবে নগরীর বাজারে এবার ক্রেতাদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। কারন হিসেবে নারী ক্রেতা জানান, বরিশাল নগরীর প্রধান প্রধান বাজার বলতে চকবাজার, কাটপট্টি, গির্জা মহল্লা এই এলাকায় এবার যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্রেতারা অনেক সাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারছেন। দাম তুলনামুলক একটু বেশি তবে মান সম্মত পোষাকের ক্ষেত্রে দামের বিষয়টা তারা আপাতত মাথায় রাখছেন না। তাই পরিবার নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। তিনি আরও বলেন এর আগে একদিন তিনি এসছিলেন তবে তার তুলনায় আজ ভির অনেক বেশি। এখনও সবাই বেতন বোনাস পায়নি, বেতন বোনাস পেলে এই ভীর বেরে আরও কয়েকগুন বেড়ে যাবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT