উত্তর জেলা যুবদলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ উত্তর জেলা যুবদলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ - ajkerparibartan.com
উত্তর জেলা যুবদলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ

6:39 pm , June 2, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঘোষনা হওয়া উত্তর জেলা যুবদলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। যুবদলের পদ পাওয়ার আশায় যারা দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় অবস্থানে ছিলেন তারাই বাঁদ পড়েছেন ওই কমিটি থেকে। বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের মত করেই ছাত্রদল নেতাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে উত্তর জেলা যুবদলের কমিটি। অভিযোগ উঠেছে বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতাদের সুপারিশে পদ পাওয়ার যোগ্য নয় এমন ছাত্র নেতাদেরও যুবদলের গুরুত্বপূর্ন পদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যে কারনে তৃনমুলে যুবদলের নতুন ওই কমিটি নিয়ে বিরুপ প্রতিকৃয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে রাজনীতি থেকে মাইনাসে চলে যাওয়ার কথাও ভবছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত শুক্রবার বরিশাল উত্তর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনা সহ কয়েকটি জেলায় যুবদলের কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের যে কমিটির অনুমোদন এবং ঘোষনা করা হয়েছে তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কমিটি ঘোষনার পর পরই বঞ্ছিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

পদবঞ্ছিত যুবদল নেতৃবৃন্দ জানান, উত্তর জেলা যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি ঘোষনা হয়েছে তা গঠনমুলক এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়নি বলে বিতর্কিত হয়েছে। এই কমিটিতে যে মোল্লাহ মাহফুজকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি ছিলেন গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি। বিএনপি’র বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের লোক হিসেবে মোল্লা মাহফুজকে সভাপতি করা হয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সালাউদ্দিন পিপলু ওরফে পিপলু জমাদ্দারকে। তিনি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। লেবুখালীতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান এর সাথে ইয়াবা সহ আটক হয়েছিল সে। তার বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। উত্তর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ এর লবিংএর কারনে তাকে উত্তর যুবদলের সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে।

রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় এবং নেতা-কর্মীদের কাছে অপরিচিত শাহ আলমকে করা হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক। বেগম সেলিমা রহমান এর লোক হিসেবে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। তবে কমিটিতে যাকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে তাকে রাজনৈতিক ভাবে বঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। জয়নাল আবেদীন এর অনুসারী হিসেবে সহ-সভাপতির পদ পেলে সে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদের যোগ্য বলে দাবী নেতৃবৃন্দর। রাজনীতিতে সক্রিয় এবং ভদ্র স্বভাবের মনির দেওয়ানকে মুল্যায়ন করা হলে যুবদলের কার্যক্রম আরো ভালো হতো বলে অভিমত তৃনমূলের।

উত্তর জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের আহ্বায়ক ফুয়াদ দেওয়ানকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তাকে রাজনৈতিক দক্ষতার কারনে নয়, বরং শহীদ দেওয়ান উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি হওয়ায় তার সম্মান রাখতেই ছেলেকে যুবদলের পদে আনা হয়েছে। কিন্তু যারা যুবদলের পদে আসতে ছিয়েছিলেন তাদের কেউ পদ পাননি বলে অভিযোগ তুলে বঞ্ছিত নেতারা বলেন, যে কমিটি হয়েছে তা পুরোটাই পকেট কমিটি। সিনিয়র নেতাদের সম্মান রাখতে তাদের এক একজনের এক একজন প্রার্থীকে যুবদলের পদ দেয়া হয়েছে। এই কমিটি সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাজেই ব্যবহৃত হবে। এদের দ্বারা যুবদলের রাজনীতি কতটুকু শক্তিশালী হবে তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই পদবঞ্ছিতদের।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT