3:16 pm , May 10, 2024
পটুয়াখালী প্রতিবেদক ॥ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালী, ভোলা নদীতে অবাধে চলছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা আহরণ। এতে ধ্বংস হচ্ছে নদী ও সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। জেলেরা চিংড়ি পোনার জন্য নষ্ট করছে শত শত প্রজাতি মাছের পোনা। প্রকাশ্যে গলদা-বাগদা চিংড়ির পোনা আহরণ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকটি উপজেলার স্থানীয়রা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা,বাউফল, কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার পার্শ্ববর্তী ভোলা নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধরা হচ্ছে গলদা-বাগদা চিংড়ি পোনা। বিশেষ করে
দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে কোটি কোটি টাকার অবৈধ গলদা ও বাগদা চিংড়ি রেণুর ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। অবৈধ ওই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। মাঝেমধ্যে পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর ও র্যাব অভিযান চালালেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে রেণুু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের মূলহোতারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গলাচিপা,বাউফল,কলাপাড়া ও দশমিনা তেতুলিয়া নদী থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে ভোলা নদী ও পটুয়াখালী এলাকাজুড়ে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির পোনা ধরার মহা উৎসব। ছেলে, বুড়ো, শিশু সবাই মশারি এবং ঠেলা জাল নিয়ে চিংড়ি রেণু আহরণ করছে। একজন জেলে প্রতিদিন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ পোনা ধরতে পারে। প্রতিটি পোনা তারা আড়তদারের কাছে দুই থেকে আড়াই টাকা দরে বিক্রি করে। আড়তদার চিংড়ি ঘের-মালিকদের কাছে প্রতিটি পোনা সাড়ে তিন থেকে চার টাকা দরে বিক্রি করেন। মহাজনরা অগ্রিম ঋণ দেওয়ায় পোনা শিকারে উৎসাহী হয় এসব জেলেরা। রেণু পোনা শিকারি জেলেরা জানান, গলদা চিংড়ির পোনা ধরা যে অবৈধ তা তারা জানেন। কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই রেনু পোনা শিকার করতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, ২০/২৫ কিলোমিটার নদীপথ সবসময় নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয় না। মানুষ সচেতন না হলে রেণু নিধন বন্ধ করা খুবই কঠিন কাজ। তবে প্রায়ই নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে তিনি জানান। দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, অবৈধ রেণু ব্যবসা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।