1:00 am , February 26, 2020

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ পটুয়াখালীর দশমিনায় যুবদলের কর্মিসভায় পুলিশের বাধা ও লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে। যুবদল নেতাদের দাবি, এতে তাদের নয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তাদের ওপর যুবদলের কর্মীদের ইটপাটকেলে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুই দফায় পুলিশ যুবদলের কর্মিসভায় বাধা দেয় বলে অভিযোগ বিএনপির সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। পুলিশ বলছে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। যুবদলের নেতারা দাবি করেন, বেলা ১১টায় দশমিনা বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা যুবদলের কর্মিসভা ডাকা হয়। এতে পুলিশ বাধা দিলে ওই সভা প- হয়ে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে শহরের একটি ঘরে সেই সভা বসে। এতেও বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের ধাওয়া ও লাঠিপেটায় আহত হন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা শামীম হোসেন, শাহ আলম শানু, আল-আমিন মোল্লা, ইকবাল বশির, আবুল বসার আক্কাস, আনোয়ার হোসেন আনু, মেরিন মোল্লা সম্রাট হোসেনসহ অন্তত নয় জন। তখন শামীম হোসেন, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রুমী ও স্থানীয় নেতা আক্কাসসহ ২১ জনকে আটক করে পুলিশ। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মইনুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, দশমিনায় বিনা অনুমতিতে যুবদল সমাবেশ ডাকলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় যুবদল কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিলন তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় যুবদলসহ সভাপতি যুবনেতা আজিজুল হাকিম আরজু, বরিশাল বিভাগীয় সহ সভাপতি আখতারুজ্জামান শামীম, যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ মাহফুজ, বিভাগীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম লিটন, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আকন বিপ্লব, পটুয়াখালী জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আলী খান কবির, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আশফাকুর রহমান বিপ্লব, থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক যুবায়ের হোসেন আক্কাসসহ আরও অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।