4:22 pm , July 9, 2023

বাউফল প্রতিবেদক ॥ মোবাইল কেনার টাকা চাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার পরের দিন সকালে স্ত্রী রুমা আক্তারের (১৯) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক হয়ে যান স্বামী আরাফাত ও ননদ আইমান। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নিলে আদালতে মামলা করা হয়। কিন্তু আসীমীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
সূত্র জানায়, গত ৯ জুন শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের পল্লী বিদুৎ এলাকার বাবার বাসা থেকে গৃহবধূ রুমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুমা আক্তার উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পাঠুখালী এলাকার আরাফাত মৃধার স্ত্রী এবং পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বাসিন্দা খোকন খানের মেয়ে।
এঘটনায় নিহত রুমা আক্তারের মা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে প্রথমে থানায় এজাহার করতে গেলে থানা পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি আদালতে মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় স্বামী আরাফাত মৃধা, ননদ আইমান আক্তার, শ্বশুর নিজাম মৃধা, শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেগম ও হাসিনা বেগমকে।
নিহত রুমার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৮ জুন রুমার এইচএসসি টেস্ট পরীক্ষা হবে তাই মঙ্গলবারই রুমা ও তার ননদ আইমান আমাদের বাড়িতে আসেন। পরে বুধবার আসেন জামাই আরাফাত মৃধা। আরাফাত আমাদের কাছে অনেক টাকা দাবি করে এবং ওই রাতে রুমার কাছে মোবাইল কেনার টাকা চেয়ে ঝগড়া করে জামাই আরাফাত । সকাল ১০টার দিকে জামাই আমার ফোনে কল দিয়ে বলে ‘আমরা বাড়ি যাচ্ছি এবং আপনার মেয়ে আপনাদের বাড়িতেই আছে। তখন তাদের যেতে নিষেধ করি এবং বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে রুমা তাদের সাথে গেছে কিনা সেটা জিজ্ঞাসা করি। তখন জামাই বলে ‘আপনার মেয়ে বাসায়ই আছে। পরে ঘরের দরজায় হাত দিলেই দরজা খুলে যায়। ভেতরে প্রবেশ করলে রুমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রুমার বাবা খোকন খান বলেন, ওইদিন সকালে চা খেতে রাস্তায় যাই। পরে বাসায় এসে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। আমার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।