কলাপাড়ার মধুখালী ব্রিজ বিধ্বস্ত হয়ে চার জন আহত, নিখোঁজ-১ নিখোঁজের উদ্ধার কার্যক্রমে চলছে কলাপাড়ার মধুখালী ব্রিজ বিধ্বস্ত হয়ে চার জন আহত, নিখোঁজ-১ নিখোঁজের উদ্ধার কার্যক্রমে চলছে - ajkerparibartan.com
কলাপাড়ার মধুখালী ব্রিজ বিধ্বস্ত হয়ে চার জন আহত, নিখোঁজ-১ নিখোঁজের উদ্ধার কার্যক্রমে চলছে

1:00 am , February 13, 2020

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী আয়রণ ব্রিজ ভেঙ্গে মালবাহি টমটমসহ সাপুড়ে খালে পড়ে আনেচ প্যাদা (৪০) নামের এক দিনমজুর নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ব্রিজটি ভেঙ্গে পরারপর বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নিখোঁজ আনেচ প্যাদাকে উদ্ধারে কলাপাড়া ফায়ারসার্ভিস এবং বরিশাল নৌ-ফায়ার স্টেশন ডুবুরিদল উদ্ধার কাজে যোগ দিলেও এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোজের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ দিনমজুর আনিস প্যাদা ওই ইউনিয়নের পূর্ব মধুখালী গ্রামের মজিবুর প্যাদার ছেলে। এঘটনায় চালক শাহিন হাওলাদার, মোজাম্মেল হাওলাদার, মো. সেলিম গাজী এবং জাহাঙ্গির মিয়া আহত হয়। টমটম চালক শাহীন হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে বরিশাল শেবাচিমে এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরিশাল নদী ফায়ার স্টেশনের টিম লীডার মো. গিয়াস উদ্দিন জানায়, সকাল পৌনে নয়টা থেকে দফায় দফায় নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজ চলছে। ধারনা করা হচ্ছে নিখোজ ব্যক্তি ভেঙ্গে পড়া ব্রিজের পাটাতনের নিচে চাপা পরে আছে। পাটাতন অপসারণ করা হলে আবারও চেষ্টা চালিয়ে দেখা যাবে। শেষ বিকালে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একটি স্কেবেটরের মাধ্যমে ব্রিজের সিমেন্টর পাটাতন অপসারনের চেষ্ট চলছে। এরপর আবারো উদ্ধার কাজ শুরু করবে আমাদেও ডুবুরী দল। ডুবুরী মোগালাম রওশন জানায়, যদি নিখোঁজ ব্যক্তি ব্রিজের নিচে থাকে তবে উদ্ধার সম্ভব হবে তা না হলে শ্রতের সঙ্গে অন্যকোথাও ভেসে যেতে পারে।
নিখোঁজ আনেচ প্যাদার স্ত্রী খাদিজা বেগম জানায়, আমার স্বামী দিনমজুরের কাজ করে। সাংসারিক আর্থিক প্রয়োজনে একই গ্রামের মোঃ শাহীন হাওলাদারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করি। সেই ঋনের সমপরিমানের সুদের টাকা পরিশোধ করার পর কিছু টাকা অবশিষ্ট থেকে যায়। সেই টাকার পরিশোধের চাপ দিয়ে আমার স্বামীকে শাহীন হাওলাদার বাধ্য করে যানবাহন যোগে পন্য পরিবহনে নিষিদ্ধ ওই ব্রিজের উপর দেয়ে বালু নিয়ে আসার জন্য। ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে টমটম ভড়ে বালু আনতে গিয়ে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে। আজ আমি হয়েছি বিধাব আর আমার তিন সন্তান হয়েছে এতিম। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত শাহিনের বিচার দাবি করছি।
এঘটনায় বুধবার বিকালে উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ এবং ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT