ডাক্তার সংকটে মির্জাগঞ্জের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত ডাক্তার সংকটে মির্জাগঞ্জের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত - ajkerparibartan.com
ডাক্তার সংকটে মির্জাগঞ্জের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত

3:00 pm , August 18, 2019

মোঃ মনিরুজ্জামান হাওলাদার, মির্জাগঞ্জ ॥ “সারা গায় ক্ষত-ঔষুধ দেবো কত” এই স্লোগানের মতোই সব জায়গায় ক্ষত নিয়ে চলছে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ডাক্তার ও জনবল সহ নানাবিধ সংকটে হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের ২১টি পদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ তিন জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। ফলে মেডিকেলের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা চলছে উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে জুনিয়র কনসালটেন্ট-সার্জারী, গাইনী, এ্যানেসথেসিয়া সহ গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় গর্ববতী মা ও শিশু সহ দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা চিকিৎসা সেবাথেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডেন্টাল সার্জন পদটি শুন্য থাকায় দন্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) সহ বাকী গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শুণ্য থাকায় উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়ন এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ও বড় বিঘাই ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় সামলাতে কর্মরত ডাক্তারের হিমসিম খেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল টিতে মেডিকেল টেকণোলজিস্ট (ল্যাব) ও মেডিলেক টেকনোলজিষ্ট (রেডিও) পদ শুন্য থাকায় এবং ৩০০ এম এম এক্স-রে মেশিনটি অকেজো থাকায় রোগীরা কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। কোন ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই রোগীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও ডাক্তারের অনুমান নির্ভর চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন সময় রোগীরা ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মাঝে মধ্যে রোগীদেরকে প্যাথলোজিক্যালয় পরীক্ষার জন্য বাহিরে ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। এতে অসহায় ও দুস্থ রোগীদের যেমন দূর্ভোগ বাড়ছে পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতাল ভবনের চতুরদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় পরিবেশ দুষিত হচ্ছে ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে রোগী ও তাদের সাথে আসা স্বজনরা আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। ডাক্তার ও নানাবিদ সংকটের কারণে মুমূর্ষ রোগীদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেলা সদর হাসপাতালে ও বরিশাল-শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তাতে প্রায়ই মুমূর্ষ রোগী পথিমধ্যে মারা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা ডাক্তার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন যে, এতে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্ েপরেছে। জরুরী কাম্য সংখ্যক ডাক্তার প্রয়োজন। ইতি মধ্যে উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার সংকটের কথা জানানো হয়েছে। আশা কর শীঘ্রই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT