3:08 pm , July 8, 2019

॥শাকিল মাহমুদ বাচ্চু ॥ বরিশাল বিএম কলেজের মাস্টার্স (হিসাব বিজ্ঞান) বিভাগের পরিক্ষার্থী মিলি ইসলাম হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন ও হত্যাকারী গৃহ শিক্ষক পুলিন চন্দ্র সরকারের বিচার দেখে মরতে চান মামলার বাদী হতভাগা মিলি ইসলামের মা পারভীন বেগম। তিনি বিমান বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মামলার আলামত নষ্ট ও ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। মিলির মায়ের আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বরিশাল তদন্তাধীন রয়েছে। মিলি হত্যাকান্ডের পর মামলার আসামী বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গণিত শিক্ষক পুলিন সরকার বরিশাল থেকে পলিয়ে বরগুনায় তার বোনের বাসায় অতœগোপন কালে ১৪ মে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও মিলি ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বিমানবন্দর থানা পুলিশের দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার দুর্বলতায় অল্প সময়ে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলার বাদীসহ স্বজনদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। মিলির মা পারভিন বেগম জানিয়েছেন, ২রা মে বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডের ফিসারী রোড়ে ডা: আলী আজিমের বাসায় তার মেয়ে বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রী মিলি ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তার লাশটি পুলিন ওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানে সাথে টানিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের একদিন আগে পুলিন তার মেয়ে মিলিকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই বাসা ভাড়া নেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন বিমান বন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় পুলিন হত্যা মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নানা কৌশল ব্যাবহার করছেন। ওই থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলামকে আসামী পুলিন সরকার মোটা অংকের অর্থদিয়ে ম্যানেজ করে প্রাথমিক পর্যায়ে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা হিসাবে অতœহত্যা বলে প্রচার করে। তিনি থানায় মামলা করতে গেলে তার মামলাটি গ্রহন করেনি পুলিশ। পরবর্তিতে ৭ মে অতিরিক্ত চীফ মেট্রো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিন সরকারকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বরিশাল বিমান বন্দর থানার পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান এ প্রতিবেদককে মুঠেফোনে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্বার করে। ওই সময় তার কোন অভিভাবক না পাওয়ায় বাসার মালিকের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ইউডি মামলা দায়ে করি । তারা যখন মামলা করতে আসে তার আগেই ইউডি মামলা দায়ের হওয়ায় পিআর রিপোট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলা নেয়া সম্ভব হয়নি আমরা অভিযান চলিয়ে পুলিনকে গ্রেফতার করেছি। অর্থ লেনদেনের অভিযোগ সত্য নয়। উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের যুগিহাটি গ্রামের মৃত আবুল কালাম আকনের স্ত্রী পারভিন বেগমের ৩ কন্যা সন্তানের মধ্যে তার ছোট মেয়ে মিলি ইসলাম হত্যাকারী গৃহ শিক্ষক পুলিনের দৃষ্টান্ত মুলক বিচারের আশায় বিভিন মহলে ঘুরছেন। শেষ বয়সে মেয়ে হত্যার বিচার প্রার্থী এক মায়ের আর্তনাদ মৃত্যুর আগে যেন হত্যাকারী পুলিনের দৃষ্টান্ত মুলক বিচার দেখতে পান। বরিশাল বিএম কলেজে শিক্ষার্থী মিলি ইসলামের আপন ভাগ্নীর গৃহশিক্ষক ছিল পুলিন সরকার । সে সুবাদে মিলির সাথে পুলিনের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠায় তার শেষ পরিনতির সমাপ্তি ঘটে মিলি ইসলামের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।