3:07 pm , May 20, 2019
গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সাধন চন্দ্র হালদারকে (২৮) পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সাত মাস পর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্ত আদেশ গতকাল সোমবার গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে পৌছেছে।
স্থানীয় লোকজন, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের এলজিএসপি প্রকল্পের অধিনে উত্তর নাঠৈ মঙ্গল সরদারের বাড়ি হইতে খালেক মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত ইটের সলিং সড়ক নির্মান ও ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ২নং ওযার্ডর্ আওয়ালীগের সাধারন সম্পাদক দিলিপ কুমার ভদ্র উত্তর চাঁদশী রাধাকান্ত মেম্বরের বাড়ির সামনে ব্রিজ নির্মান প্রকল্পের কাজ পান। সৈয়দ মেহদী হাসান ও দিলীপ কুমার ভদ্র প্রকল্পের কাজ না করে বিলের চেক দাবি করেন। কিন্তু এলজিএসপির নীতিমালা অনুসারে সচিব সাধন চন্দ্র হালদার বিল দিতে রাজি না হওয়ায় গত ২৪ অক্টোর দুপুরে ইউপি সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান ও দিলিপ কুমার ভদ্র সচিব সাধন চন্দ্র হালদারকে বেদমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরের দিন (২৫ অক্টোবর)সচিব সাধন চন্দ্র হালদার বাদি হয়ে ইউপি সদস্য সৈয়দ মেহেদী ও দিলীপ কুমার ভদ্রকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় পুলিশ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত মার্চ মাসে দুই ইউপি সদস্যকে অভিযুক্ত করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড তৃতীয় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। যাহা আদালতে গৃহীত হয়। চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃঞ্চ কান্ত দে এ প্রসঙ্গে বলেন, দুই সদস্যকে বরখাস্ত করার বিষয়টি শুনেছি এখনো কোন কপি হাতে পাইনি। ইউপি সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান ও দিলিপ কুমার ভদ্রের কাছে বরখাস্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এর কোন সত্যথা নেই। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা নাসরিন দুই ইউপি সদস্য বরখাস্ত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের আদেশ গতকাল সোমবার হাতে পেয়েছি। প্রজ্ঞাপন আদেশে বলা হয়, ইউপি সদস্যদ্বয় কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯এর ধারা ৩৪(১) অনুযায়ী উল্লেখিত ইউপি সদস্যদ্বয়কে স্বীয় পদ থেকে বরখাস্ত করা হইল।