3:56 pm , May 5, 2019
নিজেস্ব প্রতিবেদক ॥ রাজাপুর উপজেলার ঘূর্ণিঝড় “ফণী” পূর্ব প্রস্তুতিতে সাহসী ভূমিকায় ছিল আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব কর্তব্য ছিল চোখে পড়ার মত। জেলার রাজাপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ ওয়াহিদ হোসেন এবং ৪নং গালুয়া ইউনিয়নের আনসার প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সুমন এর নেতৃত্বে উপজেলা সহকারী কোম্পানী কমান্ডার মোঃ শুক্কুর সহ এদের নেতৃত্বে নিজ উদ্যোগ ও নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১৫ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের নিয়ে একটি মটর সাইকেল ও একটি টেম্পু ভাড়া করে ঐ উপজেলার দূর্যোগ পূর্ণ এলাকা মঠবাড়ি ইউনিয়নের বিশখালী নদীর পাড় বাদুরতলা গ্রাম, পুখুরীজানা গ্রাম, বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রাম সহ সর্বনাশা বিশখালী নদীর আশপাশের জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয় সাইক্লোন সেন্টার ও বিভিন্ন নিরাপদ স্থানের স্কুলে নিয়ে যান এবং তাদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলার সকল পূর্ব প্রস্তুতি এবং দূর্যোগ মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল প্রকার ব্রিফিং করেন। তারা দূর্যোগ কবলীত জনসাধারনদের মাঝে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি ও দিয়াশলাই সরবরাহ করে থাকেন এবং ঝড়ের রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করেও অত্র উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েও বন্যা কবলীত জনসাধারণদের কিভাবে নিরাপদে থাকা যায় সে ব্যাপারে ব্রিফিং করেন এবং খোজ খবর নেন। এছাড়াও জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার ও ভিডিপি ঝালকাঠী মুহাম্মাদ মেহেদী হাসান পিএএম, ও উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা রাজাপুর মিলন রানী বেপারী সার্বক্ষণিক মুঠফোনে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আনসার সদস্যদের দূর্যোগ কবলীত জনসাধারণদের প্রতি সার্বিক দায়িত্ব কর্তব্য পালনের নির্দেশ প্রদান করেন এবং সার্বক্ষণিক খোজ খবর নেন। এছাড়াও ৪নং গালুয়া ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সুমন বলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা রক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত।