3:07 pm , April 9, 2019

বানারীপাড়া প্রতিবেদক ॥ বানারীপাড়ায় কয়েক মিনিটের ঝড়ো বাতাসে ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে সরকারি গোরস্থানের বাউন্ডারী ওয়াল( সীমানা প্রাচীর) ধ্বসে পড়েছে। জানা গেছে গত ৬ এপ্রিল শনিবার রাতে কয়েক মিনিটের বাতাসে নিম্মমানের নির্মিত ওই বাউন্ডারী ওয়ালটি ধ্বসে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে বানারীপাড়া পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডে সন্ধ্যা নদীর তীরে জেগে ওঠা চরে কেন্দ্রীয় ঈদ-গাঁহ,মুসলিম গোরস্থান ও সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য শ্মশান ঘাট নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন বরিশাল-২ আসনের তৎকালীণ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম মনি। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস কেন্দ্রীয় ঈদ-গাঁহ,মুসলিম গোরস্থান ও শ্মশান ঘাট নির্মাণের জন্য পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে সেখানে জেলা পরিষদ থেকে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।সম্প্রতি ওই টাকা দিয়ে সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগেই শনিবার রাতে সামান্য কয়েক মিনিটের ঝড়ো বাতাসে প্রাচীরটি ধ্বসে পড়ে। অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ওই প্রাচীর নির্মাণ কাজ এতই নি¤œমানের করা হয়েছে যে সামান্য বাতাস সহ্য করার ক্ষমতা এর নেই। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ঈদ-গাঁহ মাঠে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আজহায় স্যাত স্যাতে বালুর মাঠে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে হয়। ঈদগাঁহ মাঠে কোরবানীর গরুর হাট বসিয়ে.ঈদ-গাঁহ লাগোয়া বিশাল একটি অবৈধ ডকইয়ার্ড দিয়ে এবং দু’টি ঈদের নামাজে অর্থ আদায় করে থাকেন ঈদ-গাঁহ উন্নয়নে কমিটির কর্তা ব্যাক্তিরা । ওই অর্থ দিয়ে ঈদগাঁহ মাঠ কিংবা গোরস্থানের কোন উন্নয়ন না হলেও তাদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় শ্মশান ঘাট যথাযথভাবে উন্নয়ন করা হচ্ছে। শশ্মানঘাট নির্মাণের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা স্বচ্ছতার সঙ্গেই কাজ করছেন। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থান ও ঈদ-গাঁহ কমপ্লেক্সের সভাপতি মজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের জন্য বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তার মধ্যে ১০ লাখ টাকা কেন্দ্রীয় গোরস্থানের বাউন্ডারী ওয়াল (সীমানা প্রাচীর) নির্মাণে ইতোমধ্যেই বরিশাল জেলা পরিষদের নিজস্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করেছেন। এর বেশি কিছুই তিনি জানেন না বলেও জানান। তবে এলাকাবাসী বলছেন কমিটির সভাপতি সহ অন্য সদস্যরা এর দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। বরিশাল জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান ধ্বসে পড়া ওই বাউন্ডারী ওয়াল নতুন করে নির্মাণের জন্য ঠিকাদার রুম্মনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।