3:31 pm , April 6, 2019
ডেস্ক ॥ চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে নেওয়ার দাবি আবারও জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “আমরা বার বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গেছি, অনুরোধ করেছি যে তাকে (খালেদা জিয়া) তার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। সেখানে তাকে পাঠায়নি। পিজি হাসপাতালে নিয়েছে। “এটি সরকার নিয়ন্ত্রিত হাসপাতাল। সরকার যা চাইবে, সেভাবে পিজি হাসপাতালকে কাজ করতে হবে। সেখানে তার যে সুষ্ঠু চিকিৎসা হবে, সেটা আমরা মনে করি না।” শনিবার পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের কমরেড মনি সিং মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির চতুর্থ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। দলীয় চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এমন পর্যায়ে গেছে যে, এখন তিনি হাঁটতে পারেন না, তিনি কোনো কিছু খেতে পারছেন না। “দেশের তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধীদলীয় নেতা, তাকে এভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এই নির্যাতন আমরা মনে করি এটা মানবাধিকার বিবর্জিত।” দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সোজা কথায় সরাসরি যে কথাটা বলা যেতে পারে, বাংলাদেশে রাজনীতিকে কবর দেওয়া হয়েছে।” দেশকে ‘রাজনীতিহীন’ করার এই চেষ্টা অনেক আগে শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমার ধারণা ২০০১ সালে জোটের সরকার যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে, তারপর থেকেই এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। যারই ফলশ্রুতি হিসেবে আমরা ওয়ান-ইলেভেন দেখতে পেয়েছি।” জরুরি অবস্থার সময় গঠিত সরকারের প্রসঙ্গ তুলে ফখরুল বলেন, “আপনাদের মনে থাকার কথা তখন কিন্তু তাদের দলের সভানেত্রী (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী) বলেছিলেন- এই সরকার (১/১১ সরকার) আমাদের আন্দোলনের ফসল। “১৯৮২ সালে এরশাদ সাহেব যখন সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে ক্ষমতা দখল করলেন একটা নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার সাহেবকে ক্ষমতাচ্যুত করে, তখন তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছেন, ‘উই আর নট আনহ্যাপী’।” “আমরা জানি যে বন্যবরাহ যদি কোনোক্রমে ফসলের ক্ষেতে ঢুকে পড়ে, সেই ক্ষেত ধ্বংস করে দিয়ে যায়। আজকে সেই ধরনের একটা বন্যবরাহ ঢুকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমাদের একাত্তর সালের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে,” বলেন তিনি। বিএনপির বিরুদ্ধে একটা মামলাও মিথ্যা নয় -প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, “এটা কি মানুষ বিশ্বাস করবে? “এই যে আমি, নজরুল ইসলাম খান ভাইসহ অনেকে বসে আছি। আমাদের বিরুদ্ধে সেদিন মামলা হয়েছে, ওই দিন আমরা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) একটি মামলার শুনানিতে হাই কোর্টে ছিলাম। “হাতিরঝিলে ঘটনাই ঘটেনি, অথচ মামলা! ওই মামলার রেশ ধরে গোটা বাংলাদেশের ৪ থেকে ৫ হাজার গায়েবী ও মিথ্যা মামলা হয়েছে। দেখা গেলো যে ওই মামলা দিয়েই নির্বাচন (৩০ ডিসেম্বর) জয় করে ফেলল।”