কাউখালীতে মাদক ব্যবসায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কাউখালীতে মাদক ব্যবসায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী - ajkerparibartan.com
কাউখালীতে মাদক ব্যবসায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

3:34 pm , March 28, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শেষ পর্যন্ত ভাটারদের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন কাউখালী উপজেলায় বিতর্কিত মাদক ব্যবসায়ী ও জনসমর্থন বঞ্চিত প্রার্থী আবু সাঈদ মনু মিয়া ওরফে মনু চেয়ারম্যান। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এবার ভোটারদের সঙ্গে কৌশলী প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বারবার দল বদলানো এবং মাদক সহ আটক হওয়া এই প্রার্থী চেয়ারম্যান প্রার্থী। ইতিপূর্বে মাদক সহ হাতেনাতে পুলিশের হাতে আটক হাওয়া এবং জাল টাকার ব্যবসার সাথে জড়িত মনু মিয়া ভোটারদের কাছে এ কারণে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন । একাধিক বিষয়ে বিতর্কিত হওয়ায় ভোটাররা মনু মিয়া এবং তার গুটিকয়েক কর্মিদেরও এরিয়ে চলছেন। উপজেলার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য কিছুদিন পূর্বেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা এই মনু মিয়া দল বদল করে জাতীয় পার্টিতে (জেপি) যুক্ত হয়েছেন। তবে বিতর্কিত হওয়ার কারেনে তাকে কোন দলীয় পদও দেয়নি জেপি নেতৃবৃন্দ। ইতিপূর্বে তার নামে কাউখালী থানা পুলিশের হাতে একবার মাদক সহ স্ব শরীরে আটন হন মনু মিয়া। মাদক মামলা থাকলেও নিজের প্রকৃত পরিচয় ভোটারদের নিকট আড়াল করতে কিছুদিন যাবত তিনি পোশাক পরিচ্ছদ ও চলাফেরার ধরন কিছুটা পরিবর্তন করে ফেলেছেন। বর্তমানে ধর্মিয় বেশ ধারন করে পূর্বের কৃত কর্ম আড়াল করার চেষ্টা করছেন তিনি । উপজেলার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম জানান মনু মিয়া যখন মাদক সহ পুলিশের হাতে হাতেনাতে আটক হয় তখন তিনি সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যাক্তি ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি ধর্মীয় লেবাস ব্যবহার করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি নন । কেননা তিনি এখনো তার সঙ্গে এলাকার মাদক ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্যতা রয়েছে এবং এলাকায় কালো টাকার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন । এছারা তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভোট ডাকাতির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এই ভোটার । উপজেলার অপর এক বাসিন্দা বলেন ভোটাররা এখন অনেক সচেতন। ভোটাররা কোন মাদক ব্যবসায়ী এবং জাল টাকার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে ভোট দেবে না । আসন্ন নির্বাচনে মনু মিয়ার একমাত্র প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেীকা প্রতীকের প্রার্থী রুহিয়া বেগম হাসি নির্বাচন করছেন। তিনি ইতিপূর্বে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উপজেলায় অনেক জনপ্রিয়। ভোটাররা যে কোন সময় তার সঙ্গে কথা বলতে পারে এবং তিনি ভোটারদের যে কোন সমস্যায় সব সময় নিজে এগিয়ে। আসেন এ কারণে মনু মিয়া বিভিন্ন ছলচাতুরি করে নিজেকে ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন । কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হবে না । মনু মিয়া ইতিপূর্বে রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি ওই এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। তার বিরুদ্ধে টিআর ,কাবিখা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে ।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ইতিপূর্বে মনু মিয়ার নামে কাউখালী থানায় মাদক মামলা হতে পারে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে কোন মাদক ব্যবসায়ী যাতে ভোটারদের সঙ্গে কোন ধরনের প্রতারণা না করতে পারে এ বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি । উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী মাঠে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছে এবং পুলিশ ও র‌্যাব বিভাগের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন । অবৈধভাবে টাকা দেয়াসহ এ ধরনের অপতৎপরতা সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দেব না ।এদিকে মাদক ব্যবসায়ী ও মামলার আসামী হয়েও কিভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এ বিষয়ে সম্পর্কে তিনি বলেন আমি শুনেছি তার পিছনের ইতিহাস খুব বেশি একটা ভালো না । তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করলে আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব তাকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।আগামী ৩১ মার্চ ৫ম উপজেলা নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে কাউখালীতে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোচট ভোটার রয়েছে ৫৩ হাজার ৭৩৪ জন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT