3:54 pm , March 11, 2019

গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ গৌরনদীতে নবম শ্রেণি পড়–য়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে তিন বন্ধু মিলে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ধর্ষক কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাথে প্রতারক প্রেমিকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক দ্বয় হলো- গাইবান্ধা সদরের নশরতপুর গ্রামের মো. মোকসেদুল সরকারের পুত্র সাদিক সরদার (১৭) ও শেরপুর সদরের কালিয়াপাড়া গ্রামের সারওয়ার হোসেন (১৭)। মামলার প্রধান আসামী পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন শাওন (১৭) পলাতক রয়েছে। এরা তিনজনই গৌরনদীর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় সেমিষ্টারের ছাত্র। তারা গৌরনদী পৌরসভা এলাকার উত্তর বিজয়পুর মহল্লার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান।
তিনি জানান, দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণি’র ছাত্রী (১৫) এর সাথে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন শাওন এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ভিকটিমকে জ্বরের কথা জানিয়ে দুটি নাপা ট্যাবলেট নিয়ে মেস বাড়িতে আসার জন্য বলে প্রেমিক শাওন। ভিকটিম ট্যাবলেট নিয়ে সেখানে গেলে তাকে রুমের মধ্যে আটকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে শাওন, তার বন্ধু সাদিক ও সারওয়ার মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এমনকি ধর্ষণের ভিডিও এবং স্থির চিত্র মুঠোফোনে ধারণ করে। পরে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতারক প্রেমিক শাওন মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওসি (তদন্ত) বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হলে ভিকটিমের পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দেয়। তারা বিষয়টি মিমাংসার নামে ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই প্রশাসনের সহযোগিতায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এমনকি ওই মামলায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালত ও ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।