3:02 pm , February 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক \ ব্যাংক কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরি করে পালাতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের আটক হয়েছে আন্ত.জেলা চোর সিন্ডিকেটের এক সদস্য। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া মোটর সাইকেল ও দুটি মোবাইল সেট। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর সদর রোডে কাকলির মোড় পুলিশ বক্সের সামনে থেকে নগর ট্রাফিক পুলিশ তাকে আটক করে। তবে তার সাথে থাকা চোর চক্রের অপর দুই সদস্য পালিয়ে গেছে। আটককৃত মোটর সাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য’র নাম আবু হাসেম। সে সিরাজগঞ্জের চর মেছড়া এলাকার বামাইলের চর গ্রামের বাসিন্দা ইমন আলী’র ছেলে। এছাড়া সিন্ডিকেটের অপর দুই পলাতক সদস্য হলো- বেল্লাল ও শহিদুল ইসলাম। এরা তিনজনই ঢাকায় অটো রিক্সা চালক। মোটর সাইকেল চুরির উদ্দেশ্যে শুক্রবার বরিশালে আসে চোরাই সিন্ডিকেটের ওই তিন সদস্য। ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) শামসুল আলম জানান, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে থেকে ঝালকাঠি গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা আখতার জামান এর ডিসকভার (বরিশাল-হ-১১-৬৬৭৯) মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। মোটরসাইকেলটি না পেয়ে তার পরিচিত সাবেক সার্জেন্ট শহিদুল ইসলামকে অবহিত করেন। তখন তিনি বেতার যন্ত্র (ওয়ারলেস) এর মাধ্যমে বিষয়টি ট্রাফিক ও পুলিশ মহলে অবহিত করেন। আর ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যেই উদ্ধার হয়ে যাওয় চুরি হওয়া মোটর সাইকেলটি। আটক হয় চোর চক্রের সদস্য।টিআই সামসুল আলম বলেন, কাকলির মোড় ট্রাফিক বক্সের সামনে থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালাচ্ছিলো তিন চোর। এ সময় সেখানে কর্মরত সার্জেন্ট ইমন তাদের গতিরোধের চেষ্টা করে। তখন মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা বেল্লাল ও শহিদুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে চালক আবু হাসেমকে ধরে ফেলেন সার্জেন ইমন। শামসুল আলম বলেন, ওই তিনজন আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়ে তারা মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। তারা তিনজন শুক্রবার বরিশালে আসে। পরে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রীযাপন করেছিলো তারা। আর সকালেই হাসপাতালের সামনে থেকে মোটর সাইকেলটি চুরি করে পালাবার চেষ্টা করে। এদের সাথে আরো অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।