3:52 pm , February 14, 2019
মোঃ জসিম জনি, লালমোহন \ অন্ধ মোস্তফা। পথে ঘাটে ভিক্ষা করে বেড়ান। মাথা গোঁজার ঠিকানা না থাকায় পথে ঘাটেই রাত কাটে তার। মা-বাবা, ভাই-বোন কেউই নেই। ছোট বেলায় বাবা মারা গেলে মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সেই থেকে পথহারা একা জীবন মোস্তফার। বয়স এখন চল্লিশ ছুঁই ছুঁই করছে। টাইফয়েড জ্বরে ছোটবেলায় এক চোখ হারান। বাকী চোখটিও বছর চারেক আগে অন্ধ হয়ে যায়। সংসার করার জন্য বিয়ে করলেও অন্ধত্বের কারণে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। ভিটে মাটি জমি বলতে কিছুই নেই তার। মোস্তফা থাকতো কালমা ইউনিয়নের ভাঙ্গাপোল বালুরচর গ্রামে। পরের দুয়ারে ভিক্ষা করা ছাড়া তার বিকল্প নেই। আর রাতে ঘুমানোর জন্য বিভিন্ন দোকানের বেঞ্চ বেঁচে নিতো মোস্তফা। ভিক্ষা করার জন্য শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলা মসজিদের সামনে দাঁড়ায় মোস্তফা। নজরে পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমির। তিনি মোস্তফার সব শুনে তাকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেন। ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে কালমা ইউনিয়নে গুচ্ছগ্রামে একটি ঘর দেন তাকে। একই সাথে জীবন ধারণের জন্য একটি মুদি দোকান করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বৃহস্পতিবার ইউএনও হাবিবুল হাসান রুমি মোস্তফাকে নিয়ে যান গুচ্চ গ্রামে। সেখানে তাকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়।