3:37 pm , January 20, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নৌ-বন্দর পল্টুনে এমভি ফারহান লঞ্চের কলম্যানদের হাতে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঢাকাগামী অন্ত.সত্ত্বা নারী ও তার স্বামী। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর নৌ-পুলিশ হামলাকারী কলম্যানকে আটক করেছে। আহত অন্ত.সত্ত্বা নারী রহিমা বেগমকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে নলছিটি উপজেলার বৈশাখীয়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। আহত জসিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জসিম জানিয়েছে, সন্ধ্যা৬টারদিকে অন্ত.সত্ত্বা স্ত্রী ও শালককে সাথে নিয়ে বরিশাল নৌ-বন্দরে আসেন। তখন ঢাকাগামী ঘাটের কলম্যান মামুন, সায়েম, অলি, সুমন ও প্রভুসহ কয়েকজন স্ত্রী রহিমা বেগমের হাত টানাটানি করে। তখন তিনি (স্বামী জসিম উদ্দিন হাওলাদার) প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ৫/৬জন কলম্যান বেধরকভাবে মারধর করে। স্বামীকে রক্ষায় রহিমা এগিয়ে গেলে তাকে মারধর করে কলম্যানরা। এতে রক্তাক্তভাবে আহত হয় রহিমা।
এ সময় কলম্যানরা রহিমার ভাইকে মারধর করে। পরে ফারহান লঞ্চের কর্মচারীরা এগিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। এ সংবাদ পেয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও নৌ- বন্দর থানার ওসি মামুন এসে হামলাকারী কলম্যানদের আটক করার নির্দেশ দেয়। এক পর্যায়ে নৌ-পুলিশ সদস্যরা হামলাকারী মামুনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় নৌ-বন্দর উপ-পরিচালক পলাতক ৪ জনকে আটক করার পাশাপাশি আহত মহিলা যাত্রির সার্বিক চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য নৌ-পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জনান। নৌ-বন্দর ঢাকাগামী ঘাটে প্রায় সময় কলম্যানদের হাতে সাধারন যাত্রী নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পল্টুনে থাকা অধিকাংশ ঢাকাগামী যাত্রীরা বলেন ঘাটে থাকা নৌ-পুলিশ কঠোর হলে এসব ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানান যাত্রীরা। অপরদিকে নৌ-থানা ইনচার্জ (ওসি) মামুন বলেন, এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ ও তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।