বিআইডব্লিউটিএর শত কোটি টাকার প্রকল্পের বাঁধা সিটি মার্কেট বিআইডব্লিউটিএর শত কোটি টাকার প্রকল্পের বাঁধা সিটি মার্কেট - ajkerparibartan.com
বিআইডব্লিউটিএর শত কোটি টাকার প্রকল্পের বাঁধা সিটি মার্কেট

3:10 pm , January 4, 2019

সাঈদ পান্থ ॥ বরিশাল আধুনিক নৌ বন্দরে শত কোটি টাকার প্রকল্পের বাঁধা বরিশাল বহুমুখী সিটি মার্কেট। এই প্রকল্পের জন্য বহুমুখী সিটি মার্কেট সরিয়ে নেয়া বা ভেঙে ফেলা হবে কিনা এর কোন সিদান্ত এখনো পাওয়া যায়নি। ফলে শত কোটি টাকার প্রকল্প বরিশালে হবে না হবে না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এদিকে চরম ঝুকিতে রয়েছে সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মালিকানাধীন সিটি মার্কেটের প্রায় ২শতাধিক ব্যবসায়ী। যদিও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে এই সমস্যা সমাধানে একটি উচ্চ পর্যায়ে টিম করা হয়েছে। যারা নির্ধারণ করবে এখানে কি হবে। এর আগে সিটি মার্কেটে থাকা ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করাও হয়েছিল।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৩২শ কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ রিজোনাল ট্রান্সপোর্ট বিআরডব্লিটিপি ওয়ান প্রকল্প’ গ্রহন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওয়াতায় চট্রগ্রাম, ঢাকা, আশুগঞ্জ, বরিশাল, চাদপুরে উন্নয়ন কর্মকান্ড করা হবে। এর মধ্যে বরিশালে আধুনিক নৌ বন্দর সম্প্রসারণ, টার্মিনাল ভবন বর্ধিতকরণ ও নৌ যাত্রীদের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে মন্ত্রনালয় থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়েছে। যারা বরিশাল নৌ বন্দরে কি কি চাহিদা রয়েছে। এর পরে টেন্ডার প্রক্রিয়া সেরে উন্নয়ন কাজ করা হবে।
তবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি মার্কেট স্থানান্তরের ক্ষতির দিকটি তুলে ধরেছেন। সেখানে বিসিসি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাংক ঋণ রয়েছে। মার্কেট সরানো হলে ব্যবসায়ী পরিবারগুলোতে মানবিক বিপর্যয় ঘটবে বলে তিনি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। বিসিসি কর্তৃপক্ষ সিটি মার্কেট বহাল রেখে চরকাউয়া খেয়াঘাট সরিয়ে নৌবন্দর সম্প্রসারণের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান পরির্দশন করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের বাজার পরির্দশক এসএম আবুল কালাম বলেন, নৌ মন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তারা দেখে বলেছেন, ‘আমরা মনে করেছি এখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে ব্যবসা চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখানে ৩শ দোকানদার ব্যবসা করছেন স্থায়ী ভিত্তিতে। তারা বলেছেন, আপনাদের উচ্ছেদ করা হবে না। আপনারা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করুন।
বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তারা বলছেন, সিটি মার্কেট স্থানান্তর ছাড়া নৌ বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। জানা গেছে, এক সময় মার্কেটের জমির মালিক ছিল সাবেক বরিশাল পৌরসভা। ১৯৬১ সালে নৌবন্দর স্থাপনের জন্য বিআইডবিউটিএর কাছে হন্তান্তর করা হয়। ২০০৫ সালে বার্ষিক ৩ লাখ ৫ হাজার ১০০ টাকা চুক্তিতে বিআইডবিউটিএর কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে মার্কেট স্থাপন করে বিসিসি। এখন এই মার্কেটের জন্য শত কোটি টাকার প্রকল্প আটকে রয়েছে। বিআইডবিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নদী পথ উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২০১৬ সালে একনেকে অনুমোদিত হয়। এর আওতায় বরিশাল নৌবন্দরে শতকোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলাদেশ রিজোনাল ট্রেন্সপোর্ট বিআরডব্লিটিপিঅয়ান প্রকল্প’। আগামী ২৫ বছরকে সামনে রেখে এই প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। কন্সালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ডিজাইন তৈরি করা হবে। কিন্তু বিসিসির সাথে একটি মার্কেট নিয়ে সমস্যা থাকার কারণে আগানো যাচ্ছে না। মন্ত্রনালয়ে মেয়রসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম তদন্ত করছে। তবে তারা রির্পোট জমা দিয়েছে কি না আমার জানা নেই।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT