6:21 pm , May 28, 2018
পিরোজপুর/মঠবাড়িয়া/স্বরুপকাঠি প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি ও মঠবাড়িয়ায় পুলিশের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ সময় আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। রোববার দিনগত গভীর রাতে পিরোজপুরের বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় স্বরুপকাঠী উপজেলার দক্ষিন কৌরিখাড়া গ্রামের মৃত. আ. রহমানের ছেলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ (৪০) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের লাল মিয়া সরদারের ছেলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও পেশাদার ডাকাত মিজানুর চাকর (৩৫)। আহত হয় পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এএসআই আল-আমিন, কনষ্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান, মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর মাজহারুল আমিন (বিপিএম), উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম, তসলিমুর রহমান ও নূর আমিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক ইয়ার আলী ও আবুল হাসান। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিএমআবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওয়াহিদ। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী রাত ১টার দিকে রওনা দেয় ডিবি পুলিশের একটি দল। তারা সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের কৈবর্তখালী গ্রামে পৌছুলে ওয়াহিদ’র সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। তারা ডিবি পুলিশের দুই সদস্যকে আহত করে ওয়াহিদকে ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ডিবি পুলিশ পাল্টা গুলি করে। দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে পড়ে নিহত হয় ওয়াহিদ। তখন সহযোগিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি পাইপ গান, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি বগি দা, ১৭৫ টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫০ গ্রাম গাঁজা, অস্ত্র তৈরির ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, গভীর রাতে বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সশ¯্র ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে মিজান চাকর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেড় কেজি গাঁজা, ৫৫ পিচ ইয়াবা ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। থানা পুলিশ জানায়, নিহত মিজানের বিরুদ্ধে মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানা, মঠবাড়িয়া থানা ও বামনা থানায় ৬টি ডাকাতি, মাদক ও আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলার মামলা রয়েছে।