6:37 pm , May 24, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়া উপজেলায় রাতের আধারে ইটভাটায় হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও তার ভাই সহ সহযোগিরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে ভাটার মালিকসহ ৪ জন আহত হওয়া ছাড়াও সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুট ও ইটভাটার অফিস কক্ষে ভাংচুর করেছে তারা। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও নবিপুর এলাকার মৃত অহিদুর রহমানের ছেলে এবং ভাটা মালিক শফিকুর রহমান সুমন (৩০), একই এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন মাঝির ছেলে আলাউদ্দিন নাজির (৪০), সমীর (৩৫) ও উপজেলার লালুয়ার গোলবুনিয়া এলাকার মৃত রফেজ সর্দারের ছেলে মোঃ আনোয়ার সর্দার (৪০)। যাদের মধ্যে রাতেই শফিকুর রহমান সুমন (৩০) ও মোঃ আনোয়ার সর্দারকে (৪০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত শফিকুর রহমান সুমন জানান, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের নীচকাটা এলাকায় বন্ধন ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। যা তারা ৪ জন ব্যবসায়ীক পার্টনার মিলে পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, পৌর যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন জুকু, তার ছোট ভাই খালিদ, চাচাতো ভাই মোশারেফ তাদের সহযোগী ফয়সাল, নাহিদ, মোজাম্মেল, নজরুল, সোহেলসহ ৩০/৪০ জন বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ইটভাটায় আকস্মিক হামলা চালায়। এসময় তারা পিটিয়ে আহত করার পাশাপাশি ইটভাটার অফিসের ক্যাশে থাকা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং অফিস কক্ষ ভাংচুর করে আরো লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। রাতেই স্থানীয়রা ৪ জন আহতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে আমরা দু’জন উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হই।
তিনি বলেন, জাকির হোসেনের সাথে এর আগে আমি (শফিকুর রহমান সুমন) পার্টনারে ব্যবসা করেছি। কিন্তু তারা আমার ব্যবসায় লুটপাট করে আমাকে ব্যবসা থেকে আলাদা করে দেয়। পাশাপাশি আমার জমি দখল করে এখনও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জাকির হোসেন কোন কাগজপত্র, প্রমানাদি ছাড়া ৪০ লাখ টাকা পাবেন বলে আমার কাছে দাবী করেন। কিন্তু আমার কাছে কোন টাকাই তারা পাবে না তাই দেয়ার প্রশ্নও আসেনা। এ কারণে ক্ষিপ্ত ছিলেন সে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়া ঘটনার পর পরই কলাপাড়া থানার এসআই আলমগীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে আহতরা।