6:44 pm , April 30, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে আবারো শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। কলেজ ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রোববার নগরীর গোরস্থান রোডে শিশু কন্যাকে (১১) ধর্ষন করেছে যুবক। গ্রেপ্তার হওয়া ধর্ষক ধর্ষনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ আহমেদ’র কাছে জবানবন্দি দেয়। এছাড়াও বিচারক ধর্ষিতা শিশু কন্যার জবানবন্দি গ্রহন করেছে। হাফিজুল ইসলাম তাওহীদ (২৬) নগরীর সাগরদী এলাকার ধান গবেষণা সড়কের বাসিন্দা বজলুর রহমান খানের ছেলে। গত রোববার শিশু কন্যার ধানগবেষণা রোডের বাসায় গিয়ে ধর্ষন করে তাওহীদ। এই ঘটনায় রোববার রাতে শিশু কন্যার বাবা বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে। গভীর রাতে নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা থেকে তাওহীদকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মশিউর রহমান।
জবানবন্দিতে ধর্ষক তাওহীদ স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করে, শিশুকন্যার বাবার সাথে তার পূর্ব থেকেই পরিচয় ছিল। এর সুবাদে তাওহীদ বিভিন্ন সময় তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করতো। নিয়মিত আসা যাওয়া করায় শিশু কন্যাকে পছন্দ করে সে। মাঝে শিশু কন্যার বাবার সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় বাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। রোববার বাসায় কেউ নেই জানতে পেরে সে নিজে বাসায় যায়। পরে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে চলে আসার সময় শিশু কন্যার মা এসে পড়ায় ধরা পড়ে। জবানবন্দিতে শিশু কন্যা উল্লেখ করে, রোববার বিকেলে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক তাওহীদ তাদের বাসায় আসে। এ সময় দরজা বন্ধ থাকায় শিশু কন্যার বাবা বাজার পাঠিয়েছে বলে করে দরজা খুলতে বলে। পরে দরজা খুলে বাজারের ব্যাগ না দেখে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করে। তখন তাওহীদ জোরপূর্বক ভিতরে প্রবেশ করে। শিশু কন্যা জানায়, বাসায় কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ফল কাটা ছুড়ি দিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে গলায় ছুড়ি ধরে ধর্ষণ করে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক ধর্ষিতা শিশু কন্যাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে। একই সাথে ধর্ষক তাওহীদকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।