3:09 pm , December 28, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হঠাৎ করে বেড়ে গেছে হাজতির সংখ্যা। ধারণ ক্ষমতার প্রায় আড়াইগুন বেশি হাজতির বসবাস এখন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই কারাগারের জেলার ইউনুস জামান নিজেই স্বীকার করেছেন গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত বাড়তে থাকে হাজতিদের সংখ্যা। যা এখন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতার আড়াইগুন অতিক্রম করে পৌছেছে ১৫শ’র ঘরে। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, এই কারাগারে হাজতি বা আসামী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৬৩৩ জনের। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে অস্বাভাবিক ভাবে কারাগারে হাজতীর সংখ্যা বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাজতি সংখ্যা দাড়ায় ১৪৩৮ এ। এই অবস্থায় বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে কারাগার কর্তৃপক্ষকেও। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বর্তমানে কারাগারে বেশিরভাগ হাজিতই রাজনৈতিক মামলার আসামী। এর মধ্যে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরাই বেশি রয়েছে। বরিশালে গত ১৭দিন থেকে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ নিয়মিত মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গন গ্রেফতার করে। আর যে কারণেই কারাগারে হাজতির সংখ্যা অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিমত অনেকের। বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচনকে একতরফা করতে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গন গ্রেফতার করেছে। আর তাই কারাগারেও আমাদের নেতাকর্মীরা কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন। বরিশাল ৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের এমন ভাবে গ্রেফতার করা, তাও আবার নির্বাচনের আগে। এরকম অবস্থা জীবনেও দেখিনি। আমার সাথে একটি লোক নেই প্রচারণায় নামার জন্য। যারা আমার সাথে প্রচারণায় নামছে তাদেরই মামলার আসামী দেখিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বুধবারও বিশ্বাসের হাট এলাকা থেকে গনসংযোগ চলাকালে আমার কাছ থেকে যুবদলের এক নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে পুলিশ। বিএনপির সবাইকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। আমরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগও দিয়েছি এই সকল বিষয়ে। বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিণ জানান, বরিশাল বিভাগের ১৮টি আসনেই একই অবস্থা। নেতাকর্মীরা প্রচারণায় নামতে পারছে না। গ্রেফতার করে সবাইকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দিচ্ছে পুলিশ। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো: ইউনুস জামান বলেন, বরিশাল কারাগারে স্বাভাবিকভাবে এত চাপ থাকে না। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ অনেক হাজতি এসেছে এই কারাগারে। হাজতিদের সামাল দিতে একটু হিমশিম তো খেতে হচ্ছেই।