3:19 pm , December 19, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় গত দুই দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ নেতা-কর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। গ্রেফতারের পর গতকাল বুধবার তাদের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। আদালতের বিচারক মো. মারুফ আহমেদ, পলি আফরোজ ও আনিছুর রহমান তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে কোতয়ালি মডেল থানা থেকে ২১ জন, বিমান বন্দর থানা থেকে ৫ জন ও বন্দর থানা থেকে৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার আরও ১৭ নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়। জেলে যাওয়া কোতয়ালি থানার আসামিদের মধ্যে রয়েছে নাইমুল হাসান, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাসুম হাওলাদার, আবুল খায়ের জলিল, বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা মো. খালেদ হোসেন বাবর, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল হাসান রতন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন, কোতয়ালি বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্জ মন্টু খান, শামসুল কবির ফরহাদ, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুব সম্পাদক আহসানউল সোহেল, ১০নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলেল সভাপতি কামরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ আহসান কবির হাসান, বাচ্চু দুরানী। তাদেরকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার প্রতিবাদে গত ৩১ অক্টোবর সরকারি কাজে বাধা ও যানবাহন ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে করা মামলায় আটক দেখানো হয়েছে।
অপরদিকে জামায়াত নেতা মাসুম বিল্লাহ, তার ছেলে সাকিব বিল্লাহ, বাকি বিল্লাহ, চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক ও মহানগর সদস্য মিজানুর রহমান, নুরুল ইসলাম, সুলতান খান, মনিরুজ্জামান, জাকির হোসেনকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করার অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই সাইদুল হকের করা মামলায় তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এছাড়া বিমানবন্দর থানা থেকে আটককৃত আসামিরা হলো অনিক খান, ২৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সোলায়মান ওরফে রেদোয়ান খানকে বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে গোপন বৈঠকের অভিযোগে গত ২৮ এপ্রিল এয়ারপোর্ট থানায় করা মামলায় তাদের আটক দেখানো হয়েছে। শামীম হোসেন, মো. ফোরকান ও মো. মনিরুজ্জামান খানকে আওয়ামী লীগের কর্মীর কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় আটক দেখানো হয়। বন্দর থানায় মহানগর জামায়াতের সদস্য মো. আলী আশরাফ, মেহেদি হাসান নোমান ও আকতারুজ্জামান বাচ্চুকেও বিশেষ ক্ষমতা আইনের করা মামলায় আটক করে জেলে পাঠানো হয়।
আটকের বিষয়ে সদর আসনে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, সকালে ধানের শীষের পক্ষে নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে প্রচারনা চলছিলো। ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের সহ ধর্মীনি নাসিমা সরোয়ার সেখানে ক্যাম্পেইন করছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ সেখানে প্রচার প্রচারনায় বাঁধা সৃষ্টি করে। সেখান থেকে বিএনপি, ছাত্র ও যুবদলের ৫ জন নেতাকে আটক করে। এমনকি প্রার্থীর সহ সর্ধীনি নাসিমা সরোয়ারকেও টেনে হেচড়ে গাড়িতে তোলা হয়। তবে নেতা-কর্মীদের বাঁধার মুখে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রার্থীর স্ত্রীকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৮ জন জামায়াত এবং বিএনপি’র ১৩ জন। এদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অনেক গুলো মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় তারা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।