3:08 pm , November 30, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নগরীসহ জেলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা-কর্মি ও সমর্থকদের মাঝে নেই নির্বাচনী আমেজ। বরিশাল-৫ আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী শুধুমাত্র দলের নির্দেশনা পালনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। যদি দলের নির্দেশনা আসে তবে তা প্রত্যাহারও করে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তাই নির্বাচন নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যেও নেই কোন আমেজ। বর্তমানে মনোনয়ন সংগ্রহ দলের একটি নির্বাচনী কৌশল ভেবে আগ্রহ-আমেজ না থাকাটা আপাতত স্বাভাবিক বলে জানান মনোনীত প্রার্থী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। বুধবার দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এ তালিকা দেয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করার কথা থাকলেও এককভাবে এসব প্রার্থী দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে জেলার ৬ আসনের প্রার্থীরা হলেন বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৫ আসনে এড. একেএম মর্তুজা আবেদিন ও বরিশাল-৬ আসনে বেগম নাসরিন জাহান রতœা। এদের মধ্যে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে নির্ধারণ করা হয় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে। এ বিষয়ে তিনি জানান, দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। দল তাকে বরিশাল সদর আসনের প্রার্থী ঘোষনা করেছেন। এটি কেন্দ্রের একটি নির্বাচনী কৌশলও হতে পারে। কারন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা ক্ষমতাসীন মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করার কথা থাকলেও এককভাবে এই প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। আপাতত দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হয়েও তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনি কোন আমেজ না থাকলেও সঠিক প্রক্রিয়ায় তার নির্বাচনি কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি। তুলনামুলক অন্য দলগুলোর তুলনায় আমেজহীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ এর জাকজমকপূর্নভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া আচরনবিধির লংঘন। তারা এমন কাজ করবেন না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেয়া তাই অংশ নেবেন, আবার প্রত্যাাহারের সিদ্ধান্ত এলে তা প্রত্যাহারও করবেন। আর অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে আগামী ৯ ডিসেম্বর এর পরই তাদের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা শুরু হবে। ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হয়েও বরিশাল-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে এ কে এম মুর্তাজা আবেদীন বলেন, তার জনপ্রতিনিধি হওয়াটা কোন লাভজনক পেশা না। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি যদি কোন লাভজনক পর্যায়ে না থাকেন তবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে পরিবর্তনকে জানান এ কে এম মুর্তাজা আবেদীন। তবে নির্বাচনি নিয়ম অনুযায়ী কোন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি তার পদে বহাল থেকে একই সময় অন্য কোন গনতান্ত্রীক নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন নাহ। নিতে হলে তাকে বর্তমান পদ প্রত্যাহার করে অন্য নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে হবে। এছারা কোন ভাবেই একজন একাধিক পর্যায়ের জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
অন্যদিকে প্রার্থীর মতোই দলের কৌশলগত সিদ্ধান্তের কারনে নির্বাচনি আমেজহীন সদর আসনের জাপা নেতা কর্মিরা। অন্য দলগুলোর কর্মি সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনি আলাপ চারিতায় মুকরিত পরিবেশ বিরাজ করলেও খুজে পাওয়া যায়না দু এক জাপা কর্মি সমর্থক। এর আগেও কেন্দ্রর বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্তের কারনে নির্বাচনি সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়েছে। তাই চুরান্ত সিদ্ধানের পর কিচুটা হলেও আমেজ ফিরবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা কর্মি ও সমর্থকরা।